এই মুহূর্তে




জানেন কী পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের পুর্বপুরুষ হিন্দু ছিলেন? ভারতেই ছিল জন্মভিটে?




নিজস্ব প্রতিনিধি, জলন্ধর: পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনিরের ভারতের পঞ্জাবের জলন্ধরের সঙ্গে রয়েছে এক গভীর পারিবারিক ইতিহাস। পাক গণমাধ্যমের বিবিধ প্রতিবেদন এবং তথ্য অনুসারে, ১৯৪৭ সালের ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের আগে মুনিরের পরিবার জলন্ধরের কাজী মহল্লায় বাস করত।

দেশভাগের সময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে তাঁর বাবা সৈয়দ সারওয়ার মুনির সপরিবারে পাকিস্তানে চলে আসেন। প্রথমে পাকিস্তানে এসে পঞ্জাবের টোবা টেক সিং-এ বসতি স্থাপন করেন তিনি। তারপর রাওয়ালপিন্ডির ধেরি হাসানাবাদে বাড়ি করে চলে যান। মুনির সেই অর্থে দেখতে গেলে পঞ্জাবি মুসলিম সৈয়দ পরিবারের সন্তান। যার শিকড় ভারতে তিনিই চরম ভারত বিদ্বেষী।

১৯৪৭ সালের আগে জলন্ধরের কাজী মহল্লায় সম্পূর্ণ মুসলিম বসতি ছিল। মুনিরের পরিবার এখানেই বাস করত। জলন্ধরের স্থানীয় বাসিন্দা ৭৯ বছর বয়সী হরপ্রীত জানিয়েছেন দেশভাগের পর কাজী মহল্লার সমস্ত মুসলিম পরিবার পাকিস্তানে চলে যায়।

অন্য এক স্থানীয় বাসিন্দা অনিল খেড়া আবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে তিনি তাঁর বাবা এবং অন্যান্য প্রবীণদের কাছ থেকে শুনেছিলেন কাজী মহল্লার মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে কেউ ঘোড়ার গাড়ি চালাতেন, কেউ বা সবজি বিক্রি করতেন।

প্রাক্তন মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা মনোরঞ্জন কালিয়া বলেন, জলন্ধরের কাজী মহল্লা, আলি মহল্লা এবং চাহার বাগের মতো এলাকাগুলি মুসলিম অধ্যুষিত ছিল। তিনি দাবি করেন যে মুনিরের পরিবার কাজী মহল্লায় বাস করত। মনোরঞ্জন কালিয়ার বক্তব্য, “মুনিরের বক্তৃতা থেকে মনে হয়েছিল যে পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলা তাঁর ষড়যন্ত্র।” কালিয়া আরও বলেন যে মুনিরের পূর্ববর্তী বহু প্রজন্ম হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন। তাঁরা পরে ইসলামে ধর্মান্তরিত হন।

জলন্ধরের জামে মসজিদের সাজ্জাদা নাশিন, সৈয়দ নাসিরুদ্দিন পীরজাদা জানিয়েছেন যে, দেশভাগের আগে জলন্ধরে ৮৫% মুসলিম থাকতেন। এখানে ১২টি মুসলিম অধ্যুষিত বসতি ছিল।

আসীম মুনিরের বাবা রাওয়ালপিন্ডির একটি স্কুলের অধ্যক্ষ এবং স্থানীয় মসজিদের ইমাম ছিলেন। মুনির ছোট থেকেই ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হন। তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা রাওয়ালপিন্ডির একটি ইসলামী মাদ্রাসা দার-উল-তাজউদে সম্পন্ন হয়। পরে তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং শীর্ষে পৌঁছান।

২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় যখন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন, সেই সময় আসীম মুনির পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর প্রধান ছিলেন। এখন তাঁকেই চলতি বছরের ২২ এপ্রিল ঘটে যাওয়া পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার মূল পরিকল্পনাকারী বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘ভারত আগে ছিল, আগেই থাকবে’, বাড়ি ফেরার পথে জানিয়ে গেলেন পূর্ণম

নির্মম! গাছের নিচে ঘুমিয়ে থাকা ব্যক্তির উপর ময়লা ফেলে নৃশংসভাবে খুন পুরকর্মীর

‘ভেঙে পড়েছে ভারতের বিদেশনীতি’, বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করকে তীব্র আক্রমণ রাহুল গান্ধির

জামিন মিলতেই গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের নিয়ে বিজয় মিছিল, লজ্জার ঘটনা কর্নাটকে

জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার আপ বিধায়ক রমন অরোরা

সোনিয়া-রাহুলের সংস্থায় কংগ্রেস নেতাদের অনুদান দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, দাবি ইডির

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ