এই মুহূর্তে




‘ভারত আগে ছিল, আগেই থাকবে’, বাড়ি ফেরার পথে জানিয়ে গেলেন পূর্ণম




নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: হাওড়া স্টেশনে এসে দাঁড়াল দিল্লি-হাওড়া রাজধানী এক্সপ্রেস। ধীরে ধীরে নামলেন বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ। শুক্রবার বিকেলে ১৭ নম্বর প্লাটফর্মে ট্রেন আসতেই পড়ে যায় হুড়োহুড়ি। সবাই একবার ছুঁয়ে দেখতে চান ভারতের বীর জওয়ানকে। রাজধানী হাওড়া স্টেশনে ঢুকতেই স্টেশন চত্বর ‘জয় হিন্দ জয় ভারত’ স্লোগানে ভরে যায়। হিন্দোলিত হতে থাকে ভারতের পতাকা। পূর্ণমকে যথাযথ সুরক্ষা প্রদানের জন্য ছিলেন আরপিএফ ও হাওড়া সিটি পুলিশের কর্তারা। হাজির ছিলেন হাওড়া জেলার নাগরিক ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব বৃন্দ।

বাড়ি ফেরার পথে এদিন পূর্ণম জোর গলায় ভারতমাতারই জয়গান গান। তিনি বলেন, “ভারত আগে ছিল আগেই থাকবে। আমি দেশে ফিরতে পেরেছি, মা বাবার কাছে যেতে পারছি। এর জন্য আমি খুব খুশি।”

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন ভ্যালিতে সন্ত্রাসীরা ২৫ জন পর্যটককে হত্যা করে। শুধুমাত্র হিন্দু পুরুষদের বেছে বেছে সেদিন হত্যা করা হয়েছিল। জঙ্গিদের বাধা দিতে গিয়ে নিহত হয়েছিলেন এক স্থানীয় পনিচালক। ঠিক তার পরের দিন পঞ্জাবের ফিরোজপুরে ভারত-পাক সীমান্তে ডিউটি করার সময় ভুল করে পাকিস্তানে প্রবেশ করে ফেলেন পূর্ণম। ২৪ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের বিএসএফ কনস্টেবল জানিয়েছিলেন তাঁর শরীর খারাপ লাগছিল বলে একটা গাছের তলায় বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বসছিলেন তিনি। সেই গাছটি যে পাক ভূখন্ডের তা বুঝতে পারেননি। সেই সময় পাক রেঞ্জার্সের হাতে বন্দি হন তিনি।

একের পর এক ফ্ল্যাগ মিটিং হয় প্রথমে। ভারতও পাকিস্তানি এক রেঞ্জারকে আটক করে। বারবার অনুরোধ, হুমকির পরেও প্রথমে পূর্ণমকে ছাড়তে চায়নি পাকিস্তান। এরপর ৭ মে হয় অপারেশন সিঁদুর। ধ্বংস হয় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। নিহত হয় একশোর বেশি সন্ত্রাসী। সারা দেশ যখন অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য উদযাপনে মত্ত তখন চিন্তার মেঘ ফের ঘিরে ধরে পূর্ণমের পরিবারকে। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হতেই ফ্ল্যাগ মিটিং বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান। তারপরেও ভারত হাল ছাড়েনি।

দেদুইশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হওয়ার পর পূর্ণমকে ছাড়তে রাজি হয় শরিফের দেশ। ১৪ মে এক মুখ দাড়ি, উস্কো খুস্বকো চেহারা নিয়ে ওয়াঘা আটারি সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরেন বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম সাউ। জঙ্গিদেশে পূর্ণমের উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এতদিন দেশে ফিরলেও বাড়ি ফিরতে পারেননি তিনি। অবশেষে ফিরছেন ঘরে।

হুগলির বাড়িতে তাই আজ হয়েছে উৎবসের আয়োজন। রান্না করা হয়েছে পূর্ণমের সব পছন্দের খাবার। আজ একাদশী, তাই সব নিরামিষ রান্না হয়েছে বাড়িতে। বিকেলে হবে কেটে সেলিব্রেশন। সপ্তাহ শেষে রান্না হবে মাংস। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরছে এর থেকে আনন্দের আর কী আছে। বাড়িতে ফিরে এবার বিশ্রাম নেওয়ার পালা। কিছুদিন আনন্দে কাটিয়ে আবার কর্মস্থলে ফিরে যাবেন পূর্ণম।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দিঘায় হোটেলের ঘর ভাড়ার রেট নির্দিষ্ট করতে জেলা প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বুধবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা , মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা

কেরলের নিখোঁজ মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পরিবারের হাতে ফিরিয়ে দিল বেলিয়াবেড়া থানা

অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি পেতে মহকুমা শাসকের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন বৃদ্ধার

জল্পেশ মন্দিরে স্কাইওয়াক, ভিড়ের হাত থেকে মিলবে রক্ষা

OBC-র বিজ্ঞপ্তিতে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে প্রশ্নের মুখে ভর্তি ও নিয়োগ প্রক্রিয়া

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ