নিজস্ব প্রতিনিধি, ইম্ফল: মণিপুরে জাতিগত সংঘর্ষে নিহত পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা কেন্দ্র সহ রাজ্যের। চার সপ্তাহের মধ্যে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ পাবে তারা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পরে মঙ্গলবার এই ঘোষণা করে মণিপুর সরকার। মণিপুরের মধ্য দিয়ে যাওয়া ২ ও ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর থেকে অবরোধ তুলে নিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা।
এনএইচআরসি-র চেয়ারপার্সন বিচারপতি অরুণ কুমার মিশ্র এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমরা চার সপ্তাহের মধ্যে বাকি দের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করে আমাদের কাছে রিপোর্ট করতে বলেছি।” এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি পুনর্নির্মাণের বিষয়ে কমিশন মণিপুর সরকারকে বিদ্যমান প্রকল্প অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের জন্য ছয় সপ্তাহের মধ্যে মূল্যায়ন শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে। তিনি বলেন, “সরকার বাড়ি পুনর্নির্মাণের জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণরে প্রস্তাব করছে। তাঁদের এই প্রক্রিয়া শেষ করতে বলা হয়েছে, যাতে বাড়িগুলির পুনর্নির্মাণ শীঘ্রই শুরু হয়।”
বিচারপতি মিশ্র আরও বলেন, জিরিবাম ও ইম্ফলের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য সুড়ঙ্গ ও রেললাইন নির্মাণের প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের (এনএফআর) অবহেলার কারণে ৫৭ জনের মৃত্যু, ১৮ জন আহত এবং চারজন নিখোঁজ হওয়ার মামলারও শুনানি হয়েছে। চুড়াচাঁদপুরের জেলা হাসপাতালের বেহাল দশা, সুযোগ-সুবিধার অভাবে মণিপুরে হিংসার ঘটনা নিয়ে অভিযোগও শোনা গিয়েছে।বিচারপতি মিশ্রের পাশাপাশি এনএইচআরসি সদস্য ডঃ জ্ঞানেশ্বর মনোহর মুলে এবং রাজীব জৈন, সেক্রেটারি জেনারেল ভরত লাল, রেজিস্ট্রার সুরজিৎ দে এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও শিবিরে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, মেইতেই সম্প্রদায়ের তফসিলি উপজাতির মর্যাদার দাবির প্রতিবাদে পার্বত্য জেলাগুলিতে ‘আদিবাসী পদযাত্রা’ আয়োজনের পর ৩ মে মণিপুরে জাতিগত সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে ১৮০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং কয়েকশতাধিক আহত হয়েছেন। মণিপুরের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫৩ শতাংশ মেইতি এবং বেশিরভাগই ইম্ফল উপত্যকায় বাস করে। নাগা এবং কুকি সম্প্রদায়ের সংখ্যা ৪০ শতাংশের সামান্য বেশি এবং তারা পার্বত্য জেলাগুলিতে বাস করে।