নিজস্ব প্রতিনিধি, জয়পুর: রাজস্থানে গর্ভবতী মহিলার মৃত্যুর পর নার্সিংহোমে ভাঙচুরে মদত দেওয়া এবং লোক খেপিয়ে তোলার অভিযোগে এক বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। নিরাপত্তা এবং তদন্তের স্বার্থে পুলিশ তাঁর নাম জানাতে অস্বীকার করেছে। পুলিশের দাবি, মহিলার মৃত্যুর পর এলাকার লোককে খেপিয়ে তোলার পাশাপাশি নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালাতে মদত দিয়েছিলেন ওই স্থানীয় নেতা।
গর্ভবতী মহিলার মৃত্যুর পর ডা. অর্চনা শর্মাকে নার্সিংহোমের মধ্যেই হেনস্থা করে মৃতার পরিবারের সদস্যরা। বাড়ি ফিরে ডা. শর্মা আত্মহত্যা করেন। মৃত চিকিৎসকের পাশ থেকে পুলিশ একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করে, যেখানে লেখা ছিল নির্দোষ চিকিৎসকদের অনুগ্রহ করে হেনস্থা করবেন না।
এই ঘটনায় রাজস্থানে জনমানসে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়। অসন্তোষ তৈরি হয় চিকিৎসকমহলেও।রাজস্থানের চিকিৎসকমহল পথে নামে। পুলিশের ভূমিকার নিন্দা করে তারা রাজ্যসরকারের কাছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবি তোলেন। এক প্রকার চাপে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহ্যলট এক পুলিশকর্তাকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত নেন।
অর্চনার স্বামী, যিনি নিজেও পেশায় চিকিৎসক, জানিয়েছে, অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। পুলিশের উচিত নার্সিংহোমে যারা ভাঙচুর চালিয়েছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা। সেই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, পুলিশ কোন যুক্তিতে তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে। এই ধরনের হেনস্থা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ‘পুলিশের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপের প্রয়োজন। কোন যুক্তিতে পুলিশ আমার স্ত্রী বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে। আমার মতো আরও অনেকের স্ত্রী পেশায় চিকিৎসক। তাদের নিরাপত্তার স্বার্থেই এই ধরনের হেনস্থা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। ’