এই মুহূর্তে




আগামী ৫ বছর ভাগ্যবিধাতা কে? সকাল থেকেই ভোটের লাইনে দিল্লিবাসী




নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: প্রতীক্ষার অবসান। আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিজেদের ভাগ্যবিধাতাদের বেছে নিতে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাতটা থেকেই ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছেন রাজধানী দিল্লির ভোটাররা। যদিও সকাল থেকে ভোটের লাইনে তেমন ভিড় চোখে পড়েনি। তবে দিনভর বুথে-বুথে হাজির হয়ে ভোটাররা কাদের নিজেদের ভাগ্যবিধাতা হিসাবে বেছে নিলেন, সন্ধে সাড়ে ছয়টার পরেই তার ইঙ্গিত মিলতে পারে। কেননা, বিভিন্ন বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে সন্ধে সাড়ে ছয়টার পরেই বুথফেরত সমীক্ষা প্রচারিত হতে চলেছে।

রাজধানীর ৭০ বিধানসভা আসনে এবারে ভোটারের সংখ্যা ১ কোটি ৫৬ লক্ষের বেশি। তার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৮৩ লক্ষ ৭৬ হাজার। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৭২ লক্ষ ৩৬ হাজার এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১,২৬৭ জন। মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ১৩ হাজার ৭৬৬টি। ভোট উপলক্ষে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। দিল্লি পুলিশের ৩৫ হাজার ৬২৬ জন কর্মী-আধিকারিকের পাশাপাশি ১৯ হাজার হোমগার্ড এবং ২২০ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে।  কালকাজি আসন থেকে ফের একবার নিজের ভাগ্য পরীক্ষায় অবতীর্ন হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মারলেনা। তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন কংগ্রেসের অলকা লাম্বা। নযা দিল্লি আসনে নিজের ভাগ্যপরীক্ষায় নেমেছেন আম আদমি পার্টির জাতীয় সমন্বয়ক তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের হয়ে লড়ছেন দিল্লির প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ দীক্ষিত এবং বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন পরবেশ বর্মা। জংপুরা আসন থেকে লড়ছেন আপের শীর্ষ নেতা তথা দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিসোদিয়া। তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেস দাঁড় করিয়েছে ফারহাদ সুরিকে। বিজেপির হয়ে লড়ছছেন তারবিন্দর সিং মারওয়া।

নির্ভয়া কাণ্ডের পরেই দিল্লিতে রাজনৈতিক দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে আম আদমি পার্টি। ২০১২ সালে আত্মপ্রকাশ করেই ২০১৩ সালের ভোটে প্রথমবার লড়ে সবাইকে চমকে দেয় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। ২৮টি আসন জিতে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ে। কিন্তু ৪৯ দিনের মাথায় মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে আচমকা পদত্যাগ করেন কেজরিওয়াল। এক বছর রাষ্ট্রপতির শাসনের আওতায় থাকার পর ২০১৫ সালের ভোটে ৭০–এর মধ্যে ৬৭ আসন জিতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরে আপ। পাঁচ বছর পর ২০২০ সালে আপ জয়ী হয় ৬২ আসনে। বাকি ৮ আসন যায় বিজেপির ঝুলিতে। মাসে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ও ২০ হাজার লিটার জল বিনামূল্যে দেওয়ার মধ্য দিয়ে দিল্লিবাসীর মন জয় করেন কেজরিওয়াল। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের চিকিৎসার সুব্যবস্থা দিতে পাড়ায় পাড়ায় মহল্লা ক্লিনিক খুলেছিলেন। পরবর্তীকালে নারীদের বিনা ভাড়ায় সরকারি বাসে যাতায়াতের সুযোগ করে দিয়েছেন। বয়স্কদের সরকারি খরচে বছরে একবার তীর্থযাত্রায় পাঠিয়েছেন।

আপের এই জনমোহিনী প্রকল্পের বিরুদ্ধে এক সময়ে সরব হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দান–খয়রাত নীতির তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু এবার জেতার মরিয়া প্রচেষ্টায় তিনিও ঢালাও দান–খয়রাতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও। তিন দলের ঢালাও প্রতিশ্রুতির বন্যায় শেষ পর্যন্ত ভাগ্যবিধাতা হিসাবে রাজধানীবাসী কোন দলকে বেছে নেন, তাই এখন দেখার।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘অহিংসা আমাদের ধর্ম, কিন্তু রাজার কর্তব্য..’, মোদিকে ‘রাজধর্ম’ স্মরণ করালেন ভাগবত

নাটক করছে পাকিস্তান, সাংবাদিক সম্মেলনে ওমরের কণ্ঠ থেকে ঝরল একরাশ ক্ষোভ  

‘শিব স্তুতি’র সুর ‘চুরি’! রহমান ও ‘Ponniyin Selvan 2’-এর নির্মাতাদের ২ কোটি টাকা জরিমানা

চেন্নাইয়ে বিদেশী ছাত্রীকে নির্যাতন, মারধর, অটোচালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

কেরালার বিভিন্ন হোটেলে এল বোমা হামলার হুমকি মেল

সিমলা চুক্তি স্বাক্ষর হওয়া টেবিল থেকে সরানো হল পাকিস্তানের পতাকা

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর