নিজস্ব প্রতিনিধি, গোরক্ষপুর: গোরক্ষপুর মৃত ব্যবসায়ী মণীশ গুপ্তার ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বেকায়দায় যোগী সরকার। রিপোর্ট পুলিশের দুর্ঘটনার তত্ত্ব খারিজ করে দিয়ে উল্টে পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। চাপে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিবার প্রথমে দেহ সৎকারে রাজি ছিল না। কিন্তু সাত পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসছেন শুনে পরিবার ওই ব্যবাসায়ীর শেষকৃত্যে রাজি হয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য় ছিল আচমকা পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছিলেন মণীশ। কিন্তু ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বলছে, ব্য়বসায়ী শারীরিক নির্যাতনের শিকার। অর্থাৎ, ব্য়বসায়ীর স্ত্রীর দাবিতেই সিলমোহর দিল ময়নাতদন্ত রিপোর্ট।
ব্যবসায়ীর স্ত্রী পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন। মণীশের স্ত্রীর দাবি, ছিল তাঁর স্বামী ব্যবসার কাজে গোরক্ষপুরে গিয়েছিলেন। সেখানে আরও দু’জনের সঙ্গে একটি হোটেলে রুম বুক করেন তিনি। ওই দু’জন ব্যবসার কাজেই আমার স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তাঁরা জানিয়েছেন, আমার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করেছে পুলিশ। তাছাড়া হোটেলে থাকার সময় ফোনে আমার স্বামীর সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি বললেন, পুলিশ এসেছে, ফোন রাখতে হবে এখন। আতঙ্কে কাঁপছিল ওঁর গলা। মণীশ আমার এক আত্মীয়কেও ফোন করে বলেছিলেন, পুলিশ ওঁর উপর অত্যাচার করছে, ওঁকে থানায় নিয়ে যেতে চাইছে।’
কী বলছে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট।
রিপোর্ট বলছে, শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। আঘাতের চিহ্ন রয়েছে মাথায়। শক্ত লাঠি দিয়ে কব্জিতে আঘাত করায় কব্জি ভেঙে যায়। ভারী কিছু দিয়ে দুই চোখে এবং কপালে আঘাত করা হয়েছিল। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এও বলছে, মৃত্য়ু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ ওই ব্যবসায়ীর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে গিয়েছে।
ঘটনার পরে পরে পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, হোটেল রুমের মধ্যে আচমকা পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছিলেন মণীশ। কিন্তু ব্যবসায়ীর স্ত্রীর দাবি, পুলিশি হেনস্থাতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্বামীর। বিতর্কের মুখে রামগরতাল থানার স্টেশন হাউস অফিসার-সহ ছ’জন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে