নিজস্ব প্রতিনিধি, গান্ধিনগর: এক বাক্যে তাঁর পরিচয় – তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা হীরাবেন। ছেলে প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তিনি আর পাঁচজন সাধারণ নাগরিকের মতো সকাল-সকাল গিয়েছিলেন বুথে। ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ান। সঙ্গে ছিল ছেলে পঙ্কজ মোদি। গান্ধিনগরের রেসান গ্রামে একটি বুথে গিয়ে হীরাবেন তাঁর নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়েছে হীরাবেনের নাগরিক অধিকার প্রয়োগের ছবি। দ্বিতীয় দফার ভোটে আড়াই কোটির বেশি মানুষ তাদের নাগরিকর অধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১.২৯ কোটি। আর মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১.২২ কোটি। ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়স – এমন ভোটারের সংখ্যা ৫.৯৬ কোটি। নব প্রজন্মের ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। গুজরাত ভোট নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন ১.১৩ লক্ষ কর্মীকে নিয়োগ করেছে।
সোমবার গুজরাতে সকাল আটটা থেকে শুরু হয় দ্বিতীয় দফার মতদান পর্ব। রাজ্যের ৯৩টি আসনে ভোট নেওয়া শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় দফার ভোটে মোট প্রার্থী ৮৩৩জন। ভারতীয় জনতা পার্টি ছাড়াও এবারের গুজরাত বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে আম আদমি পার্টি। ৯৩টি আসনেই তারা প্রার্থী দিয়েছে। আপ ছাড়াও গুজরাজ ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে সমাজবাদী পার্টি। বহুজন সমাজ পার্টি। বিএসপি ৪৪টি কেন্দ্রে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে। দ্বিতীয় দফার ভোটে উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন হার্দিক প্যাটেল, আলপেশ ঠাকুর, জিগনেস মেবানি।
আরও পড়ুন শতবর্ষে পা রাখতে চলেছেন হীরাবেন