নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া-সহ চার কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি চার নেতাকে নিম্ন আদালতে সশরীরের হাজিরার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি যে আর্থিক জরিমানা করেছিল কর্নাটক হাইকোর্ট তার উপরেও স্থগিতাদেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। শুধু তাই নয়, কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতির নির্দেশ নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা।
২০২২ সালে কর্নাটকে আত্মহত্যা করেছিলেন সন্তোষ পাতিল নামে এক ঠিকাদার। তাড় আত্মহত্যার পিছনে নাম জড়ায় রাজ্যের তৎকালীন গ্রামান্নোয়ন ও পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রী তথা বিজেপির দাপুটে নেতা কে ঈশোরাপ্পার। অভিযুক্ত মন্ত্রীর ইস্তফা ও বরখাস্তের দাবি জানিয়ে কংগ্রেসের পক্ষে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ওই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন কর্নাটকের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, মন্ত্রী এম বি পাতিল, রামালিঙ্গা রেড্ডি, রাজ্য কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। ওই বিক্ষোভের জেরেই মামলা দায়ের করা হয় চার জনের বিরুদ্ধে।
গত মাসেই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী-সহ চার অভিযুক্ত নেতাকে ৬ মার্চ নিম্ন আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কর্নাটক হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী-সহ চার নেতা। এদিন বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ কর্নাটক হাইকোর্টের নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। সেই সঙ্গে নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার উপরেও স্থগিতাদেশ দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে খানিকটা হলেও স্বস্তি পেলেন সিদ্দারামাইয়া।