নিজস্ব প্রতিনিধি: বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। এর মাঝেই কড়া সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল রাজস্থান সরকার। গত বছরের জানুয়ারি মাস থেকে টিকাকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে গোটা দেশে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে করোনার টিকা নিতে অনীহা দেখাচ্ছেন অনেকেই। এর মাঝেই দেশে হানা দিয়েছে করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রন। তাই টিকাকরণকেই বাধ্যতামূলক করে দিল রাজস্থান সরকার। সঙ্গে নৈশ্য কার্ফু ও মাস্ক পরা রাজস্থানে বাধ্যতামূলক করল গেহলটের সরকার।
১৬২ দিন পর গত শুক্রবারে ৪২ জন করোনা আক্রান্তের শনাক্ত করা হয়। এরই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ২২ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। তাই কোনও অবহেলা চাইছে না রাজস্থান সরকার। সে রাজ্যের সরকারের তরফেই এই কড়া সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার রাতেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট জানিয়েছেন, ‘কোনও ব্যক্তি করোনা টিকা নিতে অস্বীকার করতে পারবেন না। যাঁরা টিকা নিতে অসম্মতি জানাবেন, তাঁরা সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।’ করোনার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। সেখানেই এই কড়া সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে মূল হাতিয়ার হল টিকাকরণ। তাই গোটা দেশের পাশাপাশি রাজস্থানেও সেই বিষয়ে জোর দিয়েছে কংগ্রেস সরকার। এরই সঙ্গে মাস্ক পরা ও রাত্রিকালীন বিধিনিষেধে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি প্রসঙ্গে রাজস্থানের স্বাস্থ্য মন্ত্রী রসদিলাল মিনা শনিবার জানিয়েছেন, ‘নববর্ষ উদযাপন উৎসব শুরু হওয়ার আগে বিধিনিষেধ আরোপ করা প্রয়োজন। না হলে কোভিড-১৯ সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।’