নিজস্ব প্রতিনিধি: আগরতলা পুরসভা, ছ’টি নগর পঞ্চায়েত, সাতটি পুর পরিষদ মিলিয়ে মোট ৩৩৪টি আসনে নির্বাচন হয়েছে ত্রিপুরায়। তার মধ্যে ৩২৯টি আসনেই জয় লাভ করেছে বিজেপি। মাত্র একটি আসনে জিতেছে তৃণমূল। মাত্র তিন মাসের সংগঠনে বড় প্রাপ্তি তৃণমূলের, দাবি বিশেষজ্ঞদের। ত্রিপুরায় ২৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। উঠে এসেছে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে। আর এটা আগামী ২০২৩ নির্বাচনে ত্রিপুরা বিধানসভা দখলের বড় সাফল্য বলেই মনে করছেন যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরার পুরভোটের রেজাল্ট নিয়ে রাজীব জানিয়েছেন, ‘মাত্র ৩ মাসের মধ্যে রাস্তায় নেমে তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এটি বিরল যে, কোনও রাজনৈতিক দল তিন মাস লড়াই করে প্রায় ২৪ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। ত্রিপুরার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এত সন্ত্রাস, এত রিগিং উপেক্ষা করে আজকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায়। শাসকদল নিশ্চিতভাবেই চিন্তিত। বিজেপির ছেলেরা রিগিং করে ছাপ্পা দিয়েছে অনেক জায়গায়। কিছু কিছু জায়গায় বিজেপি তার নিজের গড় বাঁচাতে পারেনি। কোথাও কোথাও ইচ্ছা করে গণনাতে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোথাও ৫ ভোটে, কোথাও ৯ ভোটে, কোথাও ২৫ ভোটে, কোথাও ৪০০ ভোটের ব্যবধানে আমরা পরাজিত হয়েছি।’
রাজীব এও জানিয়েছেন, ‘গত পুর নির্বাচনে এই আগরতলা পুর নির্বাচনে বিজেপি ১৪.০১ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। তারপর রাজ্যে তারা ক্ষমতায় এসেছে। আর আজকে ত্রিপুরা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনে ২০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। জেনে রেখে দিন ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে ঠিক এই ভাবেই পরিবর্তন আসবে। যে ফল এবার পুর নির্বাচনে হয়েছে তাতে ত্রিপুরাবাসীকে আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। রাজ্যের মানুষের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। আমাদের নেত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, ত্রিপুরাবাসীকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য, তাদের গণতন্ত্র দেওয়ার জন্যে যে লড়াই আমরা ৩ মাস করেছি তার আগামী দিনেও চলবে।’
যদিও সূত্রের খবর, রবিবার গণনা মিটতেই আক্রান্ত হয়েছে তৃণমূল। রবিবার রাতেই তৃণমূলের এক নির্বাচনী এজেন্টকে বেধরক মারধর করা হয়েছে। যার জন্য মাথা ফেটে গিয়েছে তৃণমূল কর্মীর।