নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ৩১ অক্টোবর ত্রিপুরায় অভিষেকের সভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে ফেরেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির মোহ ত্যাগ করে ‘ক্ষমা’ চেয়েই ফের পুরানো দলে ফিরেছেন ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক। তৃণমূলে ফিরেই ত্রিপুরা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজীবকে। আর সেই দায়িত্ব পেয়েই বিপ্লব দেবের সরকারের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিয়েছেন রাজীব। ত্রিপুরায় পুরসভার নির্বাচন নিয়ে তৎপর তৃণমূল কংগ্রেস। দাঁতে দাঁতে চেপ লড়াই করছে তৃণমূলের নেতারা। আর সেই পুরসভা নির্বাচন নিয়েই লাগাতার বৈঠক করছেন ত্রিপুরায় দায়িত্ব প্রাপ্ত তৃণমূল নেতারা। তেমনই এক বৈঠকে ত্রিপুরায় সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রাজীব সরাসরি বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন বলেই জানা গিয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, ‘বিজেপি যদি তৃণমূলের উপর আক্রমণ করে, তবে আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকব এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। তৃণমূলও কিন্তু পাল্টা দিতে জানে। তবে আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী। কিন্তু ভদ্রতাকে দুর্বলতা ভাবলে ঠিক হবে না। কেউ নিজেকে একলা না ভাববেন না। কারও ওপর হামলা হলে সব স্তরের নেতৃত্ব ও কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়বেন।’ মঙ্গলবার আগরতলায় আসন্ন পুরভোটে মনোয়ন দেওয়া তৃণমূল প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সুস্মিতা দেব, সুবল দেব ও আশিষ লাল সিংরা। সেখানেই পুরভোটে লড়া প্রার্থীদের ভোকাল টনিক দেন রাজীব। তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থীদের লড়াইকে কুর্নিশও জানান।
একুশের নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেলেও ভোটে ভরাডুবি হয় রাজীবের। গোহারা হারেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী। তারপরেই বিজেপির থেকে দূরত্ব বজায় রাখা শুরু করেন রাজীব। একুশের নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পর বারবার নানা বিষয়ে তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে গেরুয়া শিবিরের দিকেই আঙুল তুলতে থাকেন রাজীব। তখন থেকেই একটি আভাস পাওয়া গিয়েছিল রাজীব সম্ভবত ফিরতে পারেন তৃণমূলে। সেই জল্পনা সত্যি করে গত ৩১ অক্টোবর তৃণমূলে ফিরে আসেন রাজীব।