এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সাংবিধানিক বেঞ্চে সমলিঙ্গের বিবাহ মামলা, ১৮ এপ্রিল শুনানি

নিজস্ব প্রতিনিধি: বড় জয়ের মুখ দেখল দেশের রামধনু পরিবার(Rainbow Family)। সমলিঙ্গের বিবাহ মামলাকে ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে(Constitutional Bench) পাঠিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court) ৩ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ। আর এই পদক্ষেপই বলে দিচ্ছে আরও এক ঐতিহাসিক রায়(Historical Verdict) আসা শুধুই সময়ের অপেক্ষা মাত্র। কেননা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই সাংবিধানিক বেঞ্চই ২০১৮ সালে রায় দিয়েছিল সমকামিতা অপরাধ নয়। এবার প্রতীক্ষা সেই LGBTQ সমাজের বিয়ের আইনি স্বীকৃতি আদায় করা। কার্যত মোদি সরকারকে(Modi Government) বড়সড় ধাক্কা দিয়েই যে সেই রায় আসা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা সেটাই এদিন বুঝিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। 

আরও পড়ুন পঞ্চায়েতে No জোট-ঘোঁট With বাম-কংগ্রেস, শুভেন্দুকে ধাক্কা নাড্ডার

বিয়ে করা কখনই অপরাধ হতে পারে না। আর বিয়ের একমাত্র উদ্দেশ্য কখনই শুধুমাত্র সন্তান উৎপাদন হতে পারে না। যদি সেটাই হতো তাহলে নিঃসন্তান দম্পতির বিবাহ সম্পর্ক আগেই ভেঙে যাওয়া উচিত ছিল। আবার সন্তান জন্মে বিফল মহিলারও না ঘরসংসার করার অধিকার থাকত না বিয়ের অধিকার থাকত। তাই যদি নিঃসন্তান দম্পতির দাম্পত্য জীবনের অধিকার থাকে, বন্ধ্যা মহিলার বিয়ের অধিকার থাকে তাহলে দুই পুরুষ বা দুই নারীর বিবাহের অধিকার কেন থাকবে না? এই প্রশ্ন তুলেই দেশের ১১টি রাজ্যের হাইকোর্টে মোট ১৮টি সমলিঙ্গের বিবাহের আর্জি জনিত মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই সব মামলার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় যেহেতু এক, তাই সবকটি মামলার একত্রে শুনানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন থেকেই সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে। তার আগে দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে এই বিষয়ে মতামত জানিয়ে হলফনামা চাওয়া হয়েছিল। সেই হলফনামা মোদি সরকার সুপ্রিম কোর্টে জমা দেয় গতকাল। যেখানে কেন্দ্রের তরফে সাফ করে দেওয়া হয়, সমলিঙ্গের বিবাহকে আইনি বৈধতা দেওয়া কখনই সম্ভব নয়। কেননা তা দেশের সমাজ ও পরিবার ব্যবস্থার পরিপন্থী।

আরও পড়ুন চাকরি বাঁচাতে ১৪২জন Group-C কর্মী হাইকোর্টের Division Bench’র দ্বারস্থ

কেন্দ্রের এই অভিমত সামনে আসার পরেই অনেকে মনে করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ যে রায়ই দিক না কেন, যারা হারবে তাঁরা এই বিষয়ে চূড়ান্ত রায় পেতে সাংবিধানিক বেঞ্চের দ্বারস্থ হবেই। একই সঙ্গে এটাও পরিষ্কার হয়ে যায় যে, মোদি সরকার কখনই সমলিঙ্গের বিবাহে সায় দেবে না। এমনকি সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ যে রায়ই দিক না কেন এই ব্যবস্থা কার্যকর করার ক্ষেত্রে তাঁরা হাত গুটিয়ে থাকবে। এখন আইনজীবীদের একটা বড় অংশই মনে করছেন মোদি সরকারের এই নেতিবাচক মানসিকতা দেখেই বৃহত্তর বেঞ্চ দেরী করেনি মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের তথা দেশের সর্বোচ্চ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিতে। কেননা সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ যে রায়ই দিক না কেন তা বাপ বাপ বলে মেনে নিতে বাধ্য থাকবে কেন্দ্র সরকার। তাই সময় নষ্ট না করে সুপ্রিম কোর্টের ৩ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ সমলিঙ্গের বিবাহ মামলাকে ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে ঠেলে দিল। যা কার্যত রামধনু পরিবারেরই বড়সড় জয় হিসাবে উঠে এল। কেননা মোদি সরকার কোনওদিনই চায়নি, এই ধরনের কোনও অধিকার রামধনু পরিবার অর্জন করুক। সব থেকে বড় কথা এই বিষয়ে যাতে আর দেরী না করা হয় তার জন্য আগামী ১৮ এপ্রিল থেকেই এই মামলার শুনানি সাংবিধানিক বেঞ্চে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এটাও না পসন্দ মোদি সরকারের।    

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

জেডিএস থেকে সাসপেন্ড যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িত দেবগৌড়ার নাতি প্রজ্জ্বল

চকোলেটের ওপর মিলল ফাঙ্গাস, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল

১৪ বছরের কিশোরীর গর্ভপাতের অনুমতি প্রত্যাহার করল সুপ্রিম কোর্ট

তৃতীয় দফায় ধনী প্রার্থী ১,৩৬১ কোটির মালিক, গরিব প্রার্থীর সম্বল মাত্র ১০০ টাকা

দিদির বিয়েতে নাচতে নাচতে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ল কিশোরী

তৃতীয় দফার ভোটে লড়াইয়ে নামা ১৮ শতাংশ প্রার্থীই ‘দাগি’

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর