নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: জাতি হিংসার আগুনে জ্বলছে মণিপুর। দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা গোষ্ঠী সংঘর্ষে প্রায় দেড়শোর মতো মানুষ মৃত্যুমিছিলে সামিল হয়েছেন। আতঙ্কে ভুগছেন আম জনতা। উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্যের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মঙ্গলবার কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি, রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সংযম দেখানো ও ঘৃণা ভাষণ বন্ধের জন্যও সব পক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে আদালত।
মণিপুরে কুকি জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আবেদনকারীরা। এদিন মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীকে নির্দিষ্ট স্থানে মোতায়েন করার নির্দেশ দেওয়া আদালতের পক্ষে ঠিক হবে না। কোথায় সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা উচিত তা নিয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া খুবই বিপজ্জনক হবে বলে মনে করি। তাছাড়া আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করতে চাই না। বরং মণিপুরে মানুষের জীবন ও স্বাধীনতার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি।’
রাজ্যে উত্তেজনা প্রশমনে যুযুধান সব পক্ষকে উস্কানিমূলক ঘৃণা ভাষণ বন্ধ করারও অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। সেই সঙ্গে গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা হিংসায় যে সমস্ত উপাসনালয় এবং পরিকাঠামো নতুন করে নির্মাণের জন্য তহবিল বরাদ্দের জন্যও কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।