নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সদস্যপদ খারিজ মামলায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে-সহ বিদ্রোহী ১৬ শিবসেনা বিধায়কের জবাব তলব করল শীর্ষ আদালত। সোমবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে শিন্ডেদের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
২০২২ সালের জুন মাসে শিবসেনা ভেঙে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে আসীন হয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে। দলবিরোধী আইনে শিন্ডে ও তাঁর অনুসারী ১৬ বিক্ষুব্ধ সেনা বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের জন্য মহারাষ্ট্রের বিধানসভার অধ্যক্ষ রাহুল নার্ভেকারের কাছে আর্জি জানিয়েছিল শিবসেনা (উদ্ধব)। ওই আর্জি নিয়ে দীর্ঘদিনই টালবাহানা করছিলেন অধ্যক্ষ। শেষ পর্যন্ত মামলা গড়ায় শীর্ষ আদালতে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ শিন্ডে সেনার বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ সংক্রান্ত আর্জি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয়।
গত ১০ জানুয়ারি বিধানসভার অধ্যক্ষ রাহুল নার্ভেকার মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে-সহ বিক্ষুব্ধ শিবসেনা বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজের আর্জি নাকচ করে দেন। এমনকি শিন্ডে সেনাকেই আসল শিবসেনা হিসাবে স্বীকৃতি দেন। ওই নির্দেশকে শীর্ষ আদালতের রায়ের অবমাননা বলে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী)। এদিন মামলার শুনানিতে প্রথমে হাইকোর্টের এক্তিয়ারকে উপেক্ষা করে মামলা শোনা উচিত হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। পরে অবশ্য উদ্ধব গোষ্ঠীর আইনজীবী কপিল সিব্বলের যুক্তি মেনে মামলা শুনতে রাজি হন। শিন্ডে-সহ ১৬ সেনা বিধায়কের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠায় ডিভিশন বেঞ্চ।