নিজস্ব প্রতিনিধি: মানছি আপনি আলুপোস্ত খেতে খুব ভালবাসেন। কিংবা বিরিয়ানি বা বাসন্তী পোলাও। কিন্তু রোজ রোজ এসব খেতে কী ভালো লাগে? মাঝে মধ্যে তো স্বাদের পরিবর্তন ঘটাতেই হবে। তাই স্বাদ বদলের আস্বাদ নিতে চলে আসুন কেরলে। সেখানে এসে শুধু খাওয়ার আস্বাদেই পরিবর্তন পাবেন তাই নয়, চাইলে নিজের যৌনতার সঙ্গীকেও বদলে ফেলতে পারবেন। মানে আপনার বিছানায় নতুন কেউ, আপনার সঙ্গীর বিছানাতেও অচেনা কেউ। কেমন হবে বলুন তো ব্যাপারটা! আর সেটাও যদি মাঝে মধ্যেই হয়। মানে ওই সঙ্গী বদলের স্বাদে যদি মাঝে মধ্যেই পরিবর্তন ঘটে তাহলে আর কে কেরল ছেড়ে আসতে চাইবে বলুন তো। মনে হবে না ওখানেই থিতু হয়ে যাই। আর মাঝে মধ্যেই নতুন নতুন শরীর আঁকড়ে ধরে নিজের শরীরের খিদেটা মিটিয়ে ফেলি। তবে এই আস্বাদে এখন পুলিশ পুরো কাবাব মে হাড্ডি হয়ে গিয়েছে। গ্রেফতারিও করছে। তাই বাবু সাবধান।
শুনুন তালে ঠিক হয়েছেটা কী! কেরলের ধনী আর অভিজাত মহলে এখন বর বউ বদলের ঘটনা বেশ জাঁকিয়ে বসেছে। মানে সেই একই শরীর নিয়ে তাঁদের দিনের পর দিন নাড়াঘাঁটা তাঁরা আর করতে চাইছেন না। তাই নিত্যদিনই তাঁদের বিছানায় নতুন নতুন শরীর জোগানোর পালা শুরু হয়ে গিয়েছিল। যৌনতার সেই চক্রই এবার ফাঁস হয়েছে ভগবানের আপন দেশে। পুলিশ নেমেছে গ্রেফতারিতে। ৭জন গিয়েছেন হাজতেও। কিন্তু এটা নাকি হিমশৈলের চুড়া মাত্র। সেখানকার হাজার খানেক বাসিন্দা নাকি জড়িত এই যৌনতার চক্রে। কার্যত গোটা কেরল জুড়েই ছড়িয়েছে এই চক্র। বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে যৌনতার সঙ্গী। একদম হোম ডেলিভারি। রমরমিয়ে চলেছে ব্যবসা। কিন্তু সমস্যা বাঁধিয়েছে তাঁরাই যারা এই ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না। যেমন কারুকাচল থানায় এক মহিলা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি নাকি ওই মহিলাকে বাধ্য করছেন অন্য পুরুষদের সঙ্গে সহবাসে লিপ্ত হতে। আর এখানেই নাক গলাবার সুযোগ পেয়ে গিয়েছে পুলিশ। চার দেওয়াল ডিঙিয়ে তাঁরা এখন হানা দিয়েছে সোজা বিছানায়। ব্যাস আর কি, কেরলে এখন সঙ্গী বদলের চক্রেও পড়ে গিয়েছে পুলিশের ডান্ডা।
কেরলের পুলিশ জানতে পেরেছে, নেট মাধ্যম ব্যবহার করে একদল লোক প্রথমে টেলিগ্রাম বা মেসেঞ্জারে বিভিন্ন গ্রুপে ঢুকে পড়ে নারী-পুরুষদের সঙ্গে বন্ধু পাতিয়ে অনেককে এই কাজে প্ররোচিত করছে। মূলত যৌনজীবনের একঘেয়েমি কাটাতে এই ধরনের প্রস্তাব একটা বড় অংশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে। আর তা ছড়িয়েছেও খুব দ্রুত, তাও গোটা রাজ্যজুড়ে। চেঙ্গাচেরি জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপার আর শ্রীকুমার জানান, অভিযুক্তেরা অধিকাংশই আলাপুঝা, কোট্টায়াম, এর্নাকুলামের মতো জেলার বাসিন্দা।