নিজস্ব প্রতিনিধি, বেঙ্গালুরু: পাখির চোখ আগামী লোকসভা ভোট (Loksabha Poll)। আর অস্তিত্ব বাঁচানোর ওই লড়াইয়ে নতুন উদ্যমে যাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা, তার জন্য ‘ভারত জোড়ো’ (Bharat Jodo) যাত্রা শুরু করেছেন রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)। কন্যাকুমারী (Kanyakumari) থেকে কাশ্মীর (Kashmir) পর্যন্ত পদযাত্রা করার কথা রয়েছে তার। ইতিমধ্যেই তামিলনাডু (Tamilnadu) হয়ে কেরলে (Kerala) পৌঁছেছেন তিনি। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর কর্নাটকে (Karnataka) ঢোকার কথা রয়েছে। আর দক্ষিণের রাজ্যটিতে রাহুলের (Rahul Gandhi) সঙ্গে পদযাত্রায় সামিল হচ্ছেন কংগ্রেস সভানেত্রী (Congress President) সোনিয়া গান্ধি (Sonia Gandhi) ও এআইসিসি’র সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি (Priyanka Gandhi)। তবে দুজনে কবে ভারত জোড়ো যাত্রায় (Bharat Jodo Yatra) অংশ নেবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
রাহুলের কর্মসূচি ঘিরে তামিলনাডু ও কেরলে যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গিয়েছে তাতে যথেষ্টই উচ্ছ্বসিত দক্ষিণের বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। কার্যত প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিতে কর্মসূচিতে জনস্রোত নেমেছে। কর্নাটকে রাহুলের কর্মসূচি কীভাবে সফল করা যায় তা নিয়ে শুক্রবার বিশেষ বৈঠকে বসেছিলেন কংগ্রেসের রাজ্য নেতারা। ওই বৈঠকের পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি (Karnataka PCC President) ডি কে শিবকুমার (D K Shivkumar) সাংবাদিকদের জানান, ’৩০ সেপ্টেম্বর কর্নাটকে ঢুকবে রাহুলের মিছিল। ওই দিন সকাল নয়টার সময়ে গুন্ডুলপেট থেকে শুরু হবে মিছিল। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ছুঁয়ে মিছিল এগোবে। ২ অক্টোবর গান্ধি জয়ন্তীর দিন নানজানগুডের বাদানাভালুতে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বল্লারিতে বিশিষ্টজনদের পাশাপাশি ছাত্র-যুবদের সঙ্গে চা-চক্রে মিলিত হবেন তিনি।’
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির কর্মসূচি রাজ্যের কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের নতুন করে উজ্জীবিত করবেন বলেই মনে করছেন কর্নাটকের শীর্ষ কংগ্রেস নেতারা। দলের অন্দরে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে তার ছায়া যাতে রাহুলের কর্মসূচিতে না পড়ে তার জন্য রাজ্য নেতৃত্বকে সতর্ক করে দিয়েছেন এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপাল।