নিজস্ব প্রতিনিধি : চার দিনের মধ্যে পর পর দুজন পড়ুয়ার মৃত্যু হল রাজস্থানের কোটায়। বৃহস্পতিবারের পর রবিবার। বৃহস্পতিবার এক দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছিল। এবার ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রশিক্ষণরত এক পড়ুয়ার মৃত্যু হল। পর পর পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনা ঘটায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, দেহে সুগারের মাত্রা ও ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাওয়ায় দুদিন আগে কোটার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ২১ বছর বয়সি শিবম রাঘবকে। শিবম উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের ছেলে। ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রস্তুতি নিতে কোটার একটি হোস্টেলে এসেছিল শিবম। গত তিন বছর ধরে সে কোটাতেই রয়েছে। কিন্তু দুদিন আগে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। হাসপাতালে ভর্তির পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শিবমকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। শেষ পর্যন্ত রবিবার শিবমের মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের পর শিবমের দেহকে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ছাত্র মৃত্যুর পিছনে কোনও অস্বাভাবিকতা রয়েছে কিনা, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার পরনীত রাজ রায় নামে আরও একটি পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছিল। পরনীতের বাড়ি জামশেদপুরে। পরণীতের বাবা রাজীব চন্দ্র রায় তার ছেলের মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছেন। পরণীতের দেহ ময়নাতদন্তেরও দাবি তোলে পরিবারের সদস্যরা। সেই মৃত্যুর চার দিনের মাথায় আরও একটি মৃত্যু হল কোটায়। উল্লেখ্য, এই কোটাতেই গত কয়েক বছর ধরে বেশ কয়েকজন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছেন। পডুয়ারা যাতে আত্মহত্যার পথ বেছে না নেয়, সেজন্য তৎপর হয়েছিল জেলা প্রশাসন। তারপরও পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনা এড়ানো গেল না।