নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: হা২০২০ সালের ৫ অক্থটোবর রাস গণধর্ষণ (Hathras Gang Raped) কাণ্ডের খবর করতে ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর মিথ্যা অভিযোগে যোগী পুলিশের হাতে গ্রেফতার হতে হয়েছিল কেরলের বাসিন্দা সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানকে (Siddique Kappan)। তার পর থেকে জেলই তাঁর ঠিকানা। অবশেষে ২৩ মাস বাদে আজ শুক্রবার জেলবন্দি সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানের জামিন মঞ্জুর করল শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি (Chief Justice of India) উদয় উমেশ ললিত (U U Lalit), বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট (S Ravindra Bhatt) ও বিচারপতি পি এস নরসিমা (P S Narshima) ডিভিশন বেঞ্চ ওই জামিন মঞ্জুর করেছে। যদিও জেলমুক্তি ঘটলেও আপাতত কেরলে ফিরতে পারবেন না কাপ্পান। তাঁকে আগামী ছয় সপ্তাহ দিল্লির জংপুরার ঠিকানাতেই থাকতে হবে।
হাথরাস গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে যখন গোটা দেশ উত্তাল তখন সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে যাচ্ছিলেন কেরলের অনলাইন নিউজ পোর্টাল আজমুখ এর প্রতিনিধি সিদ্দিক কাপ্পান। মাঝপথেই তাঁকে গ্রেফতার করে যোগী রাজ্যের পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর পাশাপাশি হিংসায় ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ আনা হয়। দেশদ্রোহিতার মামলাও দায়ের করা হয়। যাতে কাপ্পান জামিন না পান তার সঙ্গে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। গত ২৩ মাস ধরে একাধিকবার জামিনের আর্জি জানালেও জেলের বন্দিদশা থেকে মুক্তি মেলেনি। এলাহাবাদ হাইকোর্টের পক্ষ থেকে কাপ্পানের জামিনের আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।
এদিন প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত (U U Lalit), বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট (S Ravindra Bhatt) ও বিচারপতি পিএস নরসিমার (P S Narshima) বেঞ্চে কাপ্পানের জামিনের আর্জি জানান বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল (Kapil Sibbal)। জামিনের বিরোধিতা করে বিজেপি নেতা তথা উত্তরপ্রদেশ সরকারের আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি (Mahesh Jethmalani) একাধিক যুক্তি হাজির করেছিলেন। যদিও তা ধোঁপে টেকেনি।