নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দিল্লি হাইকোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পরে ইডির গ্রেফতারি থেকে ‘রক্ষাকবচ’ চেয়ে সুপ্রিম বৃহস্পতিবার রাতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্তু তাঁর জরুরি শুনানির আবেদনে সাড়া দিল না শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাতে আর্জির জরুরি শুনানি সম্ভব নয়। আগামিকাল শুক্রবার সকালে জরুরি শুনানির আর্জি জানাতে হবে। আপ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালেই শীর্ষ আদালতে ‘রক্ষাকবচ’ চেয়ে আবেদন জানানো হবে।
ইডির গ্রেফতারির হাত থেকে রক্ষাকবচ চেয়ে এদিন সকালে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি দাবি করেন, ‘রাজনৈতিক অভিসন্ধি চরিতার্থ করতেই ইডি বার বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে তলব করছে। সামনেই লোকসভার ভোট। আর ওই ভোটের আগে আম আদমি পার্টির সুপ্রিমোকে জেলে পোরার ষড়যন্ত্র চলছে। যাতে দিল্লিতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন দলের কর্মী-সমর্থকরা।’
ওই কথা শুনেই বিচারপতি ইডির আইনজীবীর কাছে জানতে চান, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী যে আবগারি নীতি কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত, তার কী প্রমাণ আছে? ইডির পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি ফাইল বিচারপতির কাছে পেশ করা হয়। ওই ফাইল খুঁটিয়ে দেখার পরেই কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির উপরে রক্ষাকবচ চেয়ে দায়ের করা আর্জি খারিজ করে দেন বিচারপতি। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২২ এপ্রিল। দিল্লি হাইকোর্টে কেজরিওয়াল ধাক্কা খাওয়ার দুই ঘন্টার মধ্যেই তাঁর সরকারি বাসভবনে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। বাসভবনের চারিদিকে নিরাপত্তার দুর্ভেদ্য বলয় গড়ে তোলা হয়। দিল্লি পুলিশের পাশাপাশি নামানো হয় র্যাফ। জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি দিল্লি আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে টানা জেরা করতে থাকেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। প্রতিবেদন প্রকাশ পর্যন্ত, দলের সুপ্রিমোর বাড়িতে ইডির হানার খবর পেয়েই কেজরির বাসভবনের সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেন আপ কর্মী-সমর্থকরা। এমনকি বিক্ষোভও দেখান তারা। ১৪৪ ধারা অমান্য করে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য আপ কর্মী-সমর্থকদের আটকও করতে শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ।