নিজস্ব প্রতিনিধি, গান্ধিনগর: মোরবি সেতুর মেরামতি ও সংস্কারের বরাত পাওয়া সেই ঠিকাদার সংস্থা ওরেভা তাদের ফার্মে তালা-চাবি লাগিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। পালিয়ে যাওয়ার খবর কানে গিয়েছে পুলিশের। যারা পালিয়েছে, তারা সংস্থার রাঘব-বোয়াল। তাদের সঙ্গে সংস্থার বেশ কয়েকজন কর্মীও রয়েছে। এমন ঘটনা ঘটার সমূহ সম্ভাবনা ছিল। সংস্থায় কতজন কাজ করতেন, সে ব্যাপারে পুলিশের তরফ থেকে এই খবর লেখা পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।
মোরবি সেতু দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অ-বিজেপি সব সব রাজনৈতিক দল চেয়েছে সিবিআই। যদিও রাজ্য সরকার সিবিআই তদন্তে দাবি খারিজ করে দিয়েছে। গুরজরাতে সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই সেতু দুর্ঘটনায় কেন্দ্রে ও রাজ্যে আসীন শাসকদল রীতিমতো অস্বস্তিতে। কীভাবে ড্যামেজ কন্ট্রোল করা যায়, এখন সেই চেষ্টাই শুরু করেছে তারা।
সেতু দুর্ঘটনার পরে পরে রাজ্য সরকার সিট গঠন করে। মাঠে নামে সিট। গতকাল ওরেভা সংস্থার নয় কর্মীকে গ্রেফতার করে সিট। যদিও এই নয়জনের মধ্যে একজনও সংস্থার কোনও পদাধিকারী ব্যক্তি নন। অনুমান, সেই গ্রেফতারের খবর বাকিদের কানে গিয়েছে। ধরা পড়লে কঠিন শাস্তি নিশ্চিত, সেটা বুঝেই তারা পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
উল্লেখ করা যেতে পারে, রবিবার রাতে আচমকাই ভেঙে পড়ে মোরবি সেতু। সরকারিভাবে বলা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা ১৩০-য়ের বেশি। যদিও অনেকেই মনে করছে, সংখ্যাটা প্রায় দুশোর কাছাকাছি। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন নিখোঁজ শতাধিক, মাঝপথে উদ্ধার অভিযান থামাল গুজরাত সরকার