নিজস্ব প্রতিনিধি : রীতি মেনে বুধবার অযোধ্যার রামমন্দিরে হয়ে গেল রামলালার দিব্য অভিষেক। রামলালার কপালে এসে পড়ল সূর্ষ তিলক। বিশেষ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সূর্যের রশ্মি ফেলা হয়েছে রামলালার কপালে। কিন্তু এর পিছনে কী বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি রয়েছে, তা একবার দেখে নেওয়া যাক।
জানা যাচ্ছে, সূর্যরশ্মিকে একটি বিশেষ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে রামলালার মূর্তির কপালে পড়তে দেখা গিয়েছে। এদিন দুপুর ১২টা থেকে দিব্য অভিষেক পর্বটি শুরু হয়। দিব্য অভিষেক পর্বটি চলে ৩ থেকে সাড়ে ৩ মিনিট। এই বিশেষ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে রামমন্দিরে ১০ জন বিজ্ঞানীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সূর্য রশ্মি যাতে রামলালার কপালে সরাসরি পড়তে পারে, সেজন্য আয়না ও লেন্সের সাহায্য নেন বিজ্ঞানীরা। আয়না ও লেন্সকে ব্যবহার করে অত্যাধুনিক যন্ত্র তৈরি করেন বিজ্ঞানীরা। সেই যন্ত্রকে ব্যবহার করে সূর্যরশ্মিকে প্রতিফলিত করার উপায় বাতলেছেন বিজ্ঞানীরা। এই প্রযুক্তিকে বিজ্ঞানীরা ‘সূর্য তিলক প্রযুক্তি’ নামে অভিহিত করেছেন। জানা গিয়েছে, রামলালার কপালে ৫.৮ সেন্টিমিটারের সূর্যরশ্মি এসে পড়ে।
রুরকির সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর ও বিজ্ঞানী প্রবীর কুমার রামাচারলা জানান, ‘সূর্যরশ্মি যাতে রামলালার কপালে পড়ে সেজন্য অপটো মেকানিক্যাল সিস্টেমকে ব্যবহার করা হয়। এই অপটো মেকানিক্যাল সিস্টেমে চারটি আয়না ও চারটি লেন্স ব্যবহার করা হয়েছিল। গর্ভগৃহের সবচেয়ে ওপরের ছাদে টিল্ট মেকানিজিমের মাধ্যমে এই আয়না ও লেন্সকে এমনভাবে বেঁকানো অবস্থায় রাখা হয়েছে যাতে সূর্যের রশ্মি ঠিকমতো রামলালার কপালে পড়তে পারে।‘ রুরকির সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ছাড়াও এই কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের বিজ্ঞানীদের।