নিজস্ব সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি : ধর্ষণ এবং খুনের অপরাধে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামীকে বেকসুর খালাস করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই তিন জনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে ১৯ বছরের এক তরুণীকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং খুন করার অভিযোগ ওঠে। পরে তদন্তে তাঁদের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হয়। ২০১৪ সালে দিল্লি হাইকোর্ট এই তিন জনকে ফাঁসির সাজা শোনায়। কিন্তু আট বছর পর তা রদ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত।
২০১২ সালে দিল্লির নজফগড় এলাকায় ধর্ষণ এবং খুনের একটি অভিযোগ দায়ের হয়। হরিয়ানার রেওয়ারি জেলার একটি মাঠ থেকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় এক তরুণীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে দেখা যায় বিভিন্ন ভারী এবং ধারাল বস্তু দিয়ে তরুণীর শরীরের নানা অংশ আঘাত করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, তাঁকে অপহরণ করে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর খুন করার তথ্যপ্রমাণ মেলে ওই তিন জনের বিরুদ্ধে। দিল্লি হাইকোর্ট ২০১৪ সালের ২৬ অগস্ট এই মামলায় রায় দিতে গিয়ে জানায়, রাস্তায় ঘোরা ‘শিকারি’র মতোই ‘শিকারের সন্ধানে’ থাকে এই ধরনের অপরাধীরা। তারপরই অপরহরণ, ধর্ষণ এবং খুনের মতো একাধিক অপরাধে রবি কুমার, রাহুল এবং বিনোদের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। খুন করার পর তথ্যপ্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে, ভিনরাজ্যে গিয়ে দেহ লোপাট করার দায়েও দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়।
কিন্তু এদিন সুপ্রিম কোর্ট এই তিনজনের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। এদিন এই তিন জনের মুক্তির বিরোধিতা করে দিল্লি পুলিশ জানায়, এই ধরণের অপরাধীরা মুক্তি পেলে সমাজে বিরূপ প্রভাব পড়বে। আসামীদের পক্ষে আইনজীবী তাদের বয়স, পরিবারের সম্মান ও এদের বিরুদ্ধে পুরনো কোনও অপরাধের রেকর্ড নেই বলে শাস্তি মুকুবের আবেদন জানান। কোর্টের রায়ের পর মৃতা তরুণীর মা বলেন, ‘এই রায় আমাদের হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। তবু আমরা সুবিচারের আশায় লড়াই চালিয়ে যাব’।