এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সুপ্রিম নজরদারিতে ভোট চাইছে তৃণমূল, প্রশ্নের মুখে কমিশনের নিরপেক্ষতা

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: জাতীয় নির্বাচন কমিশনের(ECI) নিরপেক্ষতাকে বড় প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল বাংলার(Bengal) শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন(Derek O’Brien) একটি ট্যুইট করে সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court) নজরদারিতে ২৪’র ভোট(General Election 2024) করারনোর আর্জি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সামনে এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে(Narendra Modi) ঘিরে দ্বিতীয়বার কমিশনের কাছে আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল। তবে কমিশন আদৌ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ঘুরছে নানান মহলে। আর এখানেও কার্যত প্রশ্নের মুখে কমিশনের নিরপেক্ষতা। ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের দুদিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন একাধিক রাজ্যের শীর্ষ আধিকারিকদের সরিয়ে দিয়েছে। কোপ পড়েছে বাংলার ওপরেও। এখানে কমিশনের নির্দেশ মতো রাজ্য পুলিশের DGP পদ থেকে সরে যেতে হয়েছে রাজীব কুমারের মতো আধিকারিককে। তার জেরে গতকালই তৃণমূল অভিযোগ তুলেছিল যে, বিজেপি কার্যত কমিশনকে নিয়ন্ত্রণ করছে এবং কী ক্রতে হবে আর কী করা যাবে না সেটা ঠিক করে দিচ্ছে। আর এদিন সকালেই এল ডেরেকের ট্যুইট বাণ। 

এদিন ডেরেক তাঁর ট্যুইটে লেখেন, ‘বিজেপির নোংরা কৌশল নির্বাচন কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করছে। বিজেপি কি মানুষের মুখোমুখি হতে এতটাই ঘাবড়ে গেছে যে তারা ওপিপিএনকে নিশানা করার জন্য ইসিআইকে দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করছে? এইচএমভি নাকি ইসিআই? রাজ্য সরকারের নির্বাচিত অফিসারদের বদলি করা হচ্ছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা চাই ২০২৪ সালের নির্বাচন সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে হোক।’ এদিকে জানা গিয়েছে, সোমবার অর্থাৎ গতকাল তৃণমূল কমিশনের কাছে নতুন করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে মোদির বিরুদ্ধে। এ বারের অভিযোগ, সরকারি অর্থ খরচ করে ভোটের প্রচার করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং তাঁর দল। কমিশনকে পাঠানো চিঠিতে তৃণমূল লিখেছে, গত ১৫ মার্চ মোদি ‘আমার প্রিয় পরিবারবর্গ’ বলে একটি চিঠি লেখেন। সেখানে গত এক দশকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি এবং প্রকল্পের কথা রয়েছে। হোয়াট্‌সঅ্যাপের মাধ্যমে গোটা দেশের জনগণের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া হয় ওই বার্তা।

কিন্তু সেই বার্তার একটি অংশে লেখা ছিল, ‘এই চিঠিটি পাঠিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার। গত ১০ বছরে ভারতের ১৪০ কোটির বেশি জনগণ সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। আগামীতেও তাঁরা উপকৃত হবেন।’ তৃণমূলের যুক্তি, মোদির নেতৃত্বে ভারত সরকার এই চিঠি পাঠাচ্ছে বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু আসন্ন লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী নিজে বারাণসী কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাই এটা স্পষ্ট যে সরকারি অর্থকে ব্যবহার করে ভোটের আগে সরকারি প্রকল্পের প্রচার করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি।  তৃণমূল অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন ভোট ঘোষণার পর ওই বার্তা হোয়াট্‌সঅ্যাপে ছড়ানো স্পষ্টতই নির্বাচনী আদর্শ বিধি ভঙ্গের উদাহরণ। রাজনৈতিক প্রচারে সরকারি অর্থ এবং পদ ব্যবহার করা সমীচীন নয়। তাই কমিশন মোদি এবং বিজেপির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুক। সংশ্লিষ্ট চিঠিতে তৃণমূলের তরফে সই রয়েছে ডেরেক’ও ব্রায়েনের। চিঠির শেষে সংশ্লিষ্ট হোয়াট্‌সঅ্যাপ মেসেজের স্ক্রিনশটও কমিশনকে পাঠিয়েছে তৃণমূল।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফিলিস্তিনি পোস্টে ‘লাইক’ দেওয়ার অপরাধে বরখাস্ত মুম্বইয়ের শীর্ষ স্কুলের অধ্যক্ষা

‘চিকেন শাওয়ারমা’ খেয়ে  যুবকের মৃত্যু, মুম্বাইয়ে গ্রেফতার ২ বিক্রেতা

‘অসুস্থতা’ দেখিয়ে গণহারে ছুটি কর্মীদের, এয়ার ইন্ডিয়ার ৭৯ বিমান বাতিল

কর্নাটক বিজেপির মুসলিম বিদ্বেষী পোস্ট সরাতে ‘এক্স’কে নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

সমর্থন প্রত্যাহার তিন নির্দল বিধায়কের, হরিয়ানায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল বিজেপি সরকার

১০ বছরে ২২ জনকে বিলিওনিয়ার বানিয়েছেন মোদি, খোঁচা রাহুলের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর