নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ২০২০ সালে হওয়া দিল্লি দাঙ্গার ঘটনার অন্যতম ‘অভিযুক্ত’ হিসাবে গ্রেফতার হওয়া সমাজকর্মী উমর খালিদকে বৃহস্পতিবারও জামিন দিল না কারকারদুমা আদালত। ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে এবং তখন থেকেই তিনি তিহার জেলে রয়েছেন। উমর খালিদ একজন সমাজকর্মী হওয়ার পাশাপাশি দিল্লির জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রও। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তরপূর্ব দিল্লিতে যে দাঙ্গা হয়েছিল সেই দাঙ্গার সঙ্গে সরাসরি জহ রয়েছে উমর খালিদের, এমন সন্দেহ করেই ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তরপূর্ব দিল্লিতে যে দাঙ্গা হয়েছিল সেই দাঙ্গার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসাবে গ্রেফতার করা হয়েছিল উমর খালিদকে। ওই দাঙ্গায় ৫৩ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন অন্ততপক্ষে সাতশো জন। পুলিশের তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল এই দাঙ্গা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এখনও এখনও পর্যন্ত এই দাঙ্গা লাগানোর জন্য মোট ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। উমর খালিদের বিরুদ্ধে এই দাঙ্গা পরিকল্পনা করা, দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এবং সন্ত্রাসবিরোধী বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন প্রয়োগ করা হয়েছে তাঁর ওপর।
যদিও উমর খালিদ প্রথম থেকেই দাবি করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও জোরালো প্রমাণ আদালতে পেশ করতে পারেনি এই ঘটনার তদন্তকারী আধিকারিকরা। উমর খালিদের পক্ষের আইনজীবী ত্রিদীপ পাইস যুক্তি দিয়েছিলেন যে এই মামলায় দিল্লি পুলিশের দাখিল করা সম্পূর্ণ চার্জশিটই ভুল এবং তার বিরুদ্ধে মামলাটি দাখিল হয়েছে দুটি টিভি চ্যানেলের ভিডিও ক্লিপের উপর ভিত্তি করে যেখানে বক্তৃতা দিতে দেখা গিয়েছে উমর খালিদকে। তাঁর বক্তৃতারই বিতর্কিত কিছু অংশ আদালতে প্রমাণস্বরূপ তুলে ধরেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।