নিজস্ব প্রতিনিধি: অসম্পূর্ণ মন্দিরেই প্রাণ প্রতিষ্ঠা হল রামলালার(Ramlala)। গোটা দেশ দেখল সেই দৃশ্য। একই সঙ্গে তাঁরা দেখলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) পাশেই বসে আছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বা RSS’র প্রধান মোহন ভাগবত(Mohon Bhagwat)। তাঁর পাশে বসে আছেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দ বিন প্যাটেল এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আর এই দৃশ্য দেখে এখন বিরোধীদের প্রশ্ন, ভাগবত কোনও সংবিধানিক পদে বসে নেই। তিনি জনপ্রতিনিধিও নন। তাহলে কোন ক্ষমট্যাবলে তিনি ঢুকে গেলেন রামমন্দিরের গর্ভগৃহে? কীভাবেই বা ৩ ভিভিআইপির পাশে বসে সারলেন ভগবান রামের পুজো? বাইরে যেখানে আরও অনেক ভিভিআইপিরা বসে আছেন সেখানে তাঁদের ঢুকতে না দিয়ে কীভাবে ভাগবতকে ঢোকার ছাড়পত্র দেওয়া হল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধীদের দাবি, অযোধ্যার রামমন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান যে পুরো রাজনৈতিক সেটাই প্রমাণ করে দেওয়া হল ভাগবতের উপস্থিতির মাধ্যমে।
বিরোধীরা বার বার অভিযোগ তুলেছে যে, রামমন্দিরের নির্মাণ কোনও ধর্মীয় বিষয় নয়। এই মন্দিরের নির্মাণ এবং তাঁর উদ্বোধন সম্পূর্ণটাই করা হচ্ছে রাজনৈতিক স্বার্থে। হিন্দুত্বের আবেগে সুড়সুড়ি দিয়ে একের পর এক ভোট বৈতরনী পার হওয়ার ছক কষেছে পদ্মশিবির। সেই কারণেই ২৪’র ভোটের মুখে অসমাপ্ত, অর্ধনির্মীত রামমন্দিরের উদ্বোধন করতে হাত কাঁপেনি দেশের প্রধানমন্ত্রীর। তাঁর বাধেনি অসমাপ্ত মন্দিরে রামলালার মূর্তি প্রতিস্থাপনেও। আসলে সবটাই হচ্ছে ২৪’র ভোট জয়ের লক্ষ্যে। সেখানে কীই বা শাস্ত্র আর কীই বা নিয়ম। মোদির ইচ্ছাই শাস্ত্র, মোদির ইচ্ছাই নিয়ম। উনি যেটা চাইবেন বা চাইছেন সেটা মানাই ধর্ম। ভাগবত সেই পথেই হাঁটা দিয়েছেন। মোদির হুকুম পালন করছেন তিনি। সেই সঙ্গে এটাও প্রমাণ করছেন যে বিরোধীরা এতদিন ধরে যে অভিযোগ করে আসছিল যে রামমন্দির RSS ও বিজেপির ভোটে জেতার লক্ষ্যে মাধ্যম মাত্র। এর সঙ্গে ধর্ম বা শাস্ত্রের কোনও যোগ নেই। সেই কারণেই অশাস্ত্রীয় ভাবেই অর্ধসমাপ্ত মন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা পেল রামলালার মূর্তির।