নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: রাজধানীর প্রশাসনিক ক্ষমতা নিয়ে কেন্দ্রের অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে গিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপিকে নিশানা করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রবিবার রামলীলা ময়দানে আয়োজিত আম আদমি পার্টির মহা সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে আজ গণতন্ত্র শেষের মুখে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেকে সবচেয়ে ক্ষমতাশালী মনে করেন। যে কারণে সুপ্রিম কোর্টের রায় খারিজ করে দিয়ে দিল্লির আমলাদের বদলি-পোস্টিং নিয়ে অধ্যাদেশ জারি করেছেন। ওই কালা অধ্যাদেশ বাতিল করিয়ে ছাড়ব।’
আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে হঠানোর লক্ষ্যে সব বিরোধীদের এক মঞ্চে সামিল হওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেছেন আপ সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, ’১২ বছর আগে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য রামলীলা ময়দানে আমরা সবাই জড়ো হয়েছিলাম। এক যুগ বাদে স্বৈরাচারি শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে, স্বৈরতন্ত্রকে খতম করতে ফের রামলীলা ময়দানে সবাই জড়ো হয়েছি। দেশের মানুষের স্বার্থে, গণতন্ত্রকে বাঁচানোর স্বার্থে আজ সবাইকে এক মঞ্চে আসতে হবে। একগুঁয়ে স্বৈরশাসককে আমরা হারাতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।’ দুই আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়া ও সত্যেন্দ্র জৈন দুর্নীতির অভিযোগে বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি। ওই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কেজরিওয়াল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের মণণীশ সিসোদিয়াকে জেলে পুরেছেন, সত্যেন্দ্র জৈনকে জেলে পুরেছেন। দিল্লির উন্নয়ন রোখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু জেনে রাখুন, আমাদের কাছে এক নয়, ১০০ সিসোদিয়া রয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও এদিন ফের খোঁচা দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। ব্যঙ্গের সুরে বলেন, ‘দেশে আজ বেকারত্ব চরমে পৌঁছেছে। শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা কাজ পাচ্ছেন না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। ভুল জিএসটির কারণে ব্যবসায়ীরা পথে বসেছেন। আসলে চতুর্থ শ্রেণি পাশ রাজা জানেন না, কীভাবে দেশ চালাতে হয়।