নিজস্ব প্রতিনিধি : সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দিল্লির কুচকাওয়াজে নারীশক্তির জয়জয়কার। সেইসঙ্গে ‘আত্মনির্ভরতা’ ও ‘বিকশিত ভারত’-এর কথাও উঠে আসে সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে।
এদিন প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দিল্লির কর্তব্যপথে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেই ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে অভিভাদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন কর্তব্য পথে আসার আগে ওয়ার মেমোরিয়ালে শহিদ সেনাদের শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
এদিন সকাল ১০টা ৪৪ মিনিটে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মার্চ পাস শুরু হয়। এদিনের প্যারেডে স্থল, বায়ু ও নৌসেনাবাহিনীর মহিলা আধিকারিকরা অংশগ্রহণ করেন। এদিনের সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেড শুরু হয় মহিলা শিল্পীদের দিয়ে। প্রায় একশর বেশি মহিলা শিল্পী প্যারেডে অংশ নেয়। শঙ্খ ও নাগারা বাজিয়ে প্যারেড শুরু হয়। এদিন সেনাবাহিনীর মহিলা আধিকারিকরা ছাড়াও সিআরপিএফ ও সশস্ত্র সীমা বলের মহিলা আধিকারিকরাও রাষ্ট্রপতিকে অভিভাদন জানান। দিল্লি পুলিশের মহিলা আধিকারিকরাও কুচকাওয়াজে অংশ নেন। এদিন বিএসএফের উট বাহিনীও কুচকাওয়াজে অংশ নেয়। পাশাপাশি ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (এনসিসি)-এর মহিলা আধিকারিকরাও কুচকাওয়াজে অংশ নেয়। এদিন প্রতিটি রাজ্য থেকেই ট্যাবলো অংশ নেয় সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে। এদিনের অনুষ্ঠানের মূল মন্ত্রই ছিল বিকশিত ভারতকে তুলে ধরা। এদিনের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে ইসরোর ট্যাবলো। ট্যাবলোয় চন্দ্রযান-৩-এর সফলভাবে ল্যান্ডিংয়ের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। সাধারণতন্ত্র দিবসে কর্তব্যপথের আকাশে উড়ল সুকোই-৩০, রাফালের মতো যুদ্ধবিমান। কর্তব্য পথে কুচকাওয়াজ ও বিভিন্ন রাজ্যের সাংস্কৃতিক প্রদর্শনের পর রাইসিনা হিলসে রাষ্ট্রপতি ভবনে ফিরে যান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।