নিজস্ব প্রতিনিধিঃ একটা সময় ছিল যখন পুজো আসলেই সঙ্গে আসত একরাশ ভালোলাগা আর তার সঙ্গে পূজাবার্ষিকী, পুজোসাহিত্য, পুজোর গান, পুজোর সিনেমা পুজো স্পেশ্যাল আরও অনেক কিছু। তবে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে অনেক সময় পুরানো জিনিসকে পিছনে ফেলে আসি আমরা। শারদীয়ার অর্থ এক একটা বয়সে এক এক রকম। কাজের চাপে হারিয়ে যায় পুজোর উন্মাদনা। নতুন জামার গন্ধ। নতুন জুতোয় ফোস্কা পড়া পা, আইসক্রিম, অষ্টমীর অঞ্জলি, মায়ের পাটভাঙা শাড়ি ইত্যাদি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই ফিকে হয়ে আসে। তেমনি পুজোর গান।
কর্পোরেট সেক্টরের কাজের চাপে আর সেভাবে হয়ে ওঠে না বন্ধুদের সঙ্গে পুজোর আড্ডা। কিন্তু ছেলেবেলা যতই হারাক মনের আনন্দকেই সঙ্গে নিয়ে কেটে যায় একটা পুজো চলে আবার আগামী বছরের পুজোর প্ল্যান। এই তালিকায় রয়েছেন টালিগঞ্জের তারকাসহ নানা ক্ষেত্রের গুণীজনেরা। এই মুহূর্তের প্রতিনিধি অরণী ভট্টাচার্যের সঙ্গে পুজোর দিন গুলো কাটানোর পরিকল্পনা ভাগ করে নিলেন সোমলতা আচার্য।
সোমলতা জানান, একসময় পুজো স্পেশ্যাল গানের জন্য মুখিয়ে থাকতেন বাংলা গানের শ্রোতা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই গানের রিলিজ নিয়ে উন্মাদনা ফিকে হয়ে আসে। তবে আবারও পালে হাওয়া লেগেছে বলা যায় ধীরে ধীরে ফিরছে পুজোর গান। অন্যভাবে অন্যরূপে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সঙ্গীতশিল্পী সোমলতা আচার্য কথা বললেন এই নিয়ে।
পুজোর গান মানেই এক নস্টালজিয়া তাঁর কাছে। কয়েকবছর ধরে মহামারীর কারণে কনসার্ট একেবারেই বন্ধ। খুব শিগগিরি যে সব কিছু শুরু হবে এমনটাই আশা রাখছেন তিনি। এতদিন অবশ্য পুজোয় অনুষ্ঠানের জন্য বাইরে থাকতে হত বলে কলকাতাকে মিস করতেন তিনি। এখন পুরো পুজোটাই কলকাতাতে তাই সেই ফুরসৎ নেই। যদিও মিস করেন ফেলে আসা পুজোগুলো থেকে অনেক কিছু।