নিজস্ব প্রতিনিধি: আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি। তারপরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। এরপরেই খুশির রশনাই গোটা রাজ্যজুড়ে। শহর থেকে একটু গ্রামের দিকে গেলেই বুঝতে পারবেন গ্রামের পুজোতে যে প্রাণ রয়েছে তা শহরের পুজো গুলিতে বোধহয় নেই। আজকে তেমনি আপনাদের জানাবো নবদ্বীপের ভট্টাচার্য বাড়ি র পুজো সম্পর্কে। বহু বছর ধরে জমিদাররা দেবী দুর্গার উপাসনা করে চলেছেন। কিন্তু বাংলা জুড়ে এত পুজোর থেকে এত আলাদা কেনো জমিদার বাড়ির এই পুজো। আসলে এই পুজোর একটা রহস্য আছে !
এখানে মায়ের গায়ের রং লাল। আসলে মায়ের পুজোর সময় একবার চণ্ডীপাঠ ভুল হওয়াতে নাকি দেবীর গায়ের রং লাল হয়ে গিয়েছিল। তখনই কার্তিক এবং গণেশ নিজেদের স্থান পরিবর্তণ করে ফেলেছিলেন। এমনকী মায়ের মুখও দক্ষিণ দিকে ঘুরে যায়। সেইথেকে এখানে মায়ের মূর্তি লাল। ভট্টাচার্য বাড়ির সদস্যদের বিশ্বাস, এখনও যদি কখনও মায়ের পুজোয় ভুল হয়, তাহলে আবারও মা কোনও কাণ্ড বাঁধিয়ে বসবেন। আসলে বহু রাজবাড়ি, জমিদার বাড়িতে আজও নানা রূপে, নানা রীতিতে পূজিত হন দেবী দুর্গা।
ওদিকে বর্ধমানের পানাগড়ের বিরুডিহা গ্রামের পুজো কেন্দ্র করেও এক অদ্ভুত গল্প রয়েছে। এই বাড়ির জমিদাররা বসবাস করেন মাটির বাড়িতে। তাই মাকেও মাটিতে রেখেই পূজা করা হয়। এমন উদ্ভট ঘটনার পেছনে শোনা যায়, এই বংশের লোকেরা যতবার পাকা বাড়ি করতে গিয়েছেন, ততবারই এই পরিবারের কেউ না কেউ মারা গিয়েছেন। তারপর থেকেই তাঁদের বিশ্বাস, পাকা বাড়িতে থাকলেই তাঁদের বাড়িতে কোনও না কোনও অঘটন ঘটবে!