নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসতেই ফের পড়ুয়াদের জন্য দরজা খুলে দিল খড়গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে সব ছাত্র-ছাত্রীকে ক্যাম্পাসে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এপ্রিলের সিমেস্টার পরীক্ষাও আর অনলাইনে নেওয়া হবে না বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। অফলাইনেই পরীক্ষা দিতে হবে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছাত্রদের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ের পিএইচডি স্কলারদেরও। আর তাতে কিছুটা হলেও হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন পড়ুয়াদের একটি বড় অংশ। তবে গত বছর যাঁরা জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পাশ করে আইআইটি-তে ভর্তি হয়েছেন, সেই সমস্ত ছাত্র ছাত্রীদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কিছু দিন পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই অবশ্য আইআইটি’র পড়ুয়াদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আরটিপিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ থাকলে, ছাত্রদের তিন দিন নিভৃতবাসে রাখার পর চিকিৎসকদের অনুমতি নিয়ে হোস্টেলে যাওয়ার ব্যবস্থাও করে দেওয়া হচ্ছে। আপাতত কিছুদিন অনলাইনে ক্লাস হলেও, বিভিন্ন সূত্রের খবর ধাপে ধাপে অফলাইন ক্লাসও শুরু হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই বহু ছাত্র ক্যাম্পাসে ফিরে এসেছেন। ধীরে ধীরে পঠন-পাঠন থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও যে শুরু হচ্ছে তা নজরে আসছে। লকডাউনের কারণে এতদিন যাঁরা ঘরে বসেই ক্লাস করছিলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তাঁদের অনেকেই ক্যাম্পাসে ফিরতে পেরে খুশি।
খড়গপুর আইআইটি- র ক্যাম্পাসের ভিতরের বাজারগুলিতে এখন নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন জিনিস কেনার ভিড় নজরে আসছে। কারণ বাড়ি থেকে হোস্টেলে ফিরতে পেরে অনেকেই নিজের ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি কিনতে বাজারে যাচ্ছে। স্থানীয় এক দোকানদারের কথায়, ‘অনেক দিন পর আবার ছাত্রদের ভিড় বাড়ছে বাজারে। প্রাণ ফিরে পাচ্ছে আইআইটি-র ক্যাম্পাস। এতে আমরাও খুশি।’ সমাজবিদ্যা নিয়ে আইআইটি- তে গবেষণা করছেন এমন এক ছাত্রী মার্চেই ক্যাম্পাসে ফিরেছেন। তাঁর কথায়, ‘বাড়িতে থেকে প্রতিটা দিন গুনেছি, কবে ক্যাম্পাসে ফিরতে পারব। কবে অফলাইনে ক্লাস করার পাশাপাশি অধ্যাপকদের সঙ্গে সামনাসামনি বসে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে পারব। লাইব্রেরি যাব। গবেষণার কাজ করব। অবশেষে সেই অপেক্ষা শেষ হয়েছে। আমরা খুব খুশি।’