নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা পুরভোটে শুধু গো-হারাই হারেননি, একরাশ লজ্জার রেকর্ডও গড়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। ভোট শতাংশের নিরিখে সিপিআইএমের থেকে পিছিয়ে থাকলেও জামানত খোয়ানোর ক্ষেত্রে বামেদের টেক্কা দিয়েছে সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীর দল। যেখানে ৯৭টি ওয়ার্ডে বাম প্রার্থীরা জামানত খুইয়েছেন, সেখানে ১১৬ জন বিজেপি প্রার্থী নিজেদের জামানত বাঁচাতে পারেননি। দলের এমন লজ্জা ঢাকতে চিরাচরিতভাবে ভোট রিগিংকেই ঢাল করেছেন বঙ্গ বিজেপির মুখিয়া সুকান্ত মজুমদার। উল্লেখ্য, নয়া বিজেপি রাজ্য সভাপতির জমানায় দিনহাটা, গোসাবা ও খড়দা বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনেও জামানত খুইয়েছিলেন পদ্ম শিবিরের প্রার্থীরা।
সদ্য সমাপ্ত কলকাতা পুরভোটে ১৪৪টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী দিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু মনোনয়ন প্রক্রিয়া চলার মাঝেই নাম প্রত্যাহার করে নেন বিজেপির দুই প্রার্থী। যার ফলে লড়াইয়ের আসরে ছিলেন ১৪২ জন প্রার্থী। তার মধ্যে জিতেছেন তিন জন। ৪৮ জন দ্বিতীয়স্থানে থাকতে সক্ষম হয়েছেন। বাকি ৯১ জনের অবস্থা কহতব্য নয়। সাত মাস আগে যেখানে শহরে ২৪ শতাংশের মতো ভোট পেয়েছিলেন পদ্ম শিবিরের প্রার্থীরা, সেখানে পুরভোটে যে ১১৬ জন প্রার্থী জামানত খোয়াবেন, তা স্বপ্নেও ভাবেননি বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে মঙ্গলবার রাতে জানা জানা গিয়েছে, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের ঝড়ের কাছে পর্যুদস্ত হয়ে জামানত খুইয়েছেন ৭৩১ জন প্রার্থী। তার মধ্যে নির্দল প্রার্থী ৪০৬ জন। স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বিজেপির ১১৬ জন, কংগ্রেসের ১১২ জন, বামেদের ৯৭ জন প্রার্থী নিজেদের জামানত বাঁচাতে ব্যর্থ হয়েছেন।’
ভোট শতাংশের হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ৭২ দশমিক ১৬ শতাংশ ভোট। সিপিআইএম একা পেয়েছে ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ ভোট। সার্বিকভাবে বামফ্রন্ট পেয়েছে ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ ভোট। কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে ৪ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট। বিজেপি পেয়েছে ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ ভোট। আর অন্যান্যরা পেয়েছে দুই দশমিক ৫৫ শতাংশ ভোট।