নিজস্ব প্রতিনিধি: মা রাজ্যের মন্ত্রী। একইসঙ্গে উত্তর দমদম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক। কিন্তু মায়ের আলোয় আলোকিত হতে চান না তিনি। বরং চান, মানুষ তাঁকে চিনুক তাঁর কাজ দিয়ে, বিপদের দিনে বন্ধু হিসাবে এবং সর্বোপরি মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের সৈনিক হিসাবে। তাই কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচনে ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী হয়েই তিনি মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন নিজ বার্তা নিয়ে। সেই বার্তায় থাকছে এলাকার উন্নয়ন আর আমজনতার সেবা করার বার্তা। তিনি সৌরভ বসু। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ছেলে। গড়িয়াহাট ও হিন্দুস্থান পার্ক এলাকার ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে ২০১৫ সালে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু এবার সেই ওয়ার্ডেই ঘাসফুল ফোটাবার গুরুদায়িত্ব এসেছে সৌরভবাবুর কাঁধে। স্বাভাবিক ভাবেই শাসক শিবিরের প্রার্থী হওয়ায় এবং একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পরে সৌরভবাবুও বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করে চলেছেন।
সৌরভবাবুর দাবি, বিগত সাড়ে ছয় বছরে কলকাতা পুরনিগমের অনান্য এলাকার থেকে উন্নয়নের দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে ৮৬ নম্বর ওয়ার্ড। এর অন্যতম কারন অবশ্যই ২০১৫ সালে এই ওয়ার্ড থেকে বিজেপি প্রার্থীর জয়। ওয়ার্ডে নেই কমপ্যাক্টার মেশিন, নেই কমিউনিটি হল, রাস্তাঘাটের হালও খুব একটা ভাল নয়। এমনকি সৌন্দার্যায়ন নিয়েও সেভাবে কোনও কাজ হয়নি। সৌরভবাবু এই জায়গাটাই সব থেকে বেশি জোর দিতে চাইছেন। পাখির চোখে উন্নয়ন। ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষের আশির্বাদ নিয়েই তিনি সেই উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ শুরু করতে চান। আর তাই নিজে ওয়ার্ডবাসীর কাছে নিজেকে ‘জনসেবক’ হিসাবেই তুলে ধরতে চাইছেন। নির্দিষ্ট কাউকে বিরোধী হিসাবে চিহ্নিত করতে চাইছেন না। বরঞ্চ বাম, কংগ্রেস, নির্দল, বিজেপি সবাইকে প্রতিপক্ষ হিসাবেই দেখছেন। সেই সঙ্গে তাঁর আত্মবিশ্বাস ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের আশির্বাদ তিনি পাবেন, জয়ের মুখও দেখবেন।