নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্তমানে ডিজিটাল মিডিয়ার দাপাদাপির চোটে যে কোনও সময়ে বিপদে পড়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি সবাই। এখানে ভাইরাল যেকোনও ছবি-ভিডিও রীতিমতো ঘোল খাইয়ে দিচ্ছে তারকাদেরও। তাই সাইবার অপরাধীদের সংখ্যাও দিনের পর দিন মারাত্মক হারে বাড়ছে। গতকালই গোটা সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন অভিনেত্রী রশ্মিকা মান্দান্না। তাঁর একটি ডিপফেক ভিডিও নিয়ে রীতিমতো হৈচৈ পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যায় এক মহিলা ভাইরাল হওয়ার জন্যে রশ্মিকার মুখ ব্যবহার করেছেন। এই নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে যান রশ্মিকা নিজেও।
তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন খোদ অমিতাভ বচ্চন থেকে ম্রুণাল ঠাকুর, চিন্ময়ী শ্রীপাদ। এবার রশ্মিকার মতোই একই হাল হল বলিউড ডিভা ক্যাটরিনা কাইফের। তাঁর আসন্ন ছবি ‘টাইগার ৩’-এর একটি কুখ্যাত তোয়ালে দৃশ্যের সম্পাদিত ছবি ইতিমধ্যেই গোটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে। আসল ছবিতে, ক্যাটরিনাকে হলিউডের স্টান্টউম্যানের সঙ্গে লড়াই করতে একটি তোয়ালে জড়িয়ে দেখা গিয়েছে, কিন্তু মর্ফ করা ছবিতে দেখা গেছে তাকে একটি সাদা গভীর নিমজ্জিত নেকলাইন টপ পরা। ‘টাইগার 3’ থেকে ক্যাটরিনা কাইফের ডিপফেক ছবিতে আরও দেখা যাচ্ছে, বলিউড তারকা ক্যাটরিনা কাইফ তোয়ালের পরিবর্তে একটি কম কাটা সাদা টপ এবং একটি ম্যাচিং বটম পরে আছেন। এআই টুল ব্যবহার করে এই ইমেজটি পরিবর্তন করা হয়েছে, তবে মুখ একই আছে নায়িকার। ক্যাটরিনা কাইফের তোয়ালে মারামারির দৃশ্যটি টাইগার ৩-এর অন্যতম আকর্ষণীয় দৃশ্য।
কিছুদিন আগে তোয়ালে মারামারির দৃশ্য সম্পর্কে ক্যাটরিনা কাইফ বলেছেন, “এটি খুব কঠিন সিকোয়েন্স ছিল কারণ এটি একটি বাষ্পময় হাম্মাম রুমের মধ্যে হাতের লড়াইয়ের অবিশ্বাস্য সংগঠন ছিল, তাই আঁকড়ে ধরা, বাঁকানো, ঘুষি এবং লাথি মারা সবকিছুই খুব কঠিন ছিল। এরকম জমকালো দৃশ্যের কথা ভাবার জন্য আদিকে অভিনন্দন, কারণ আমি মনে করি না যে ভারতে পর্দায় দুই মহিলাকে দেখানোর মতো কোনও ফাইট সিকোয়েন্স হয়েছে!” ‘টাইগার 3’ তে আগের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির গল্পের ধারা অব্যাহত রয়েছে। ১২ নভেম্বর মুক্তির জন্য নির্ধারিত, সিনেমাটি হিন্দি, তামিল এবং তেলেগু ভাষায় উপলব্ধ হবে। মুভিটি পরিচালনা করেছেন মনীশ শর্মা এবং এতে ইমরান হাশমি প্রতিপক্ষের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। যাই হোক গতকাল রশ্মিকার ডিপফেক ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ক্যাটরিনার ডিপফেক ছবি রীতিমতো ভয়ের জন্ম দিয়েছে। ডিপফেকও এক ধরনের এআই প্রযুক্তি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে বোঝায় যা অত্যন্ত বাস্তবসম্মত, প্রায়ই প্রতারণামূলক, ডিজিটাল সামগ্রী তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে প্রাথমিকভাবে ভিডিও বা অডিও রেকর্ডিংয়ে একজন ব্যক্তির চেহারা এবং ভয়েস পরিবর্তন বা প্রতিস্থাপন করা হয়।