নিজস্ব প্রতিনিধি: সিনেমার জগতের সঙ্গে ‘কাস্টিং কাউচ’ শব্দটা ওতপ্রতোভাবে জড়িত। ‘মি টু’ আন্দোলনের আঁচ টলিপাড়াকেও ছাড়েনি। খ্যাতনামা পরিচালক থেকে অভিনেতা, গীতিকার সবাই রয়েছে সেই তালিকায়। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ‘জি বাংলা’য় নতুন ধারাবাহিক ‘সোহাগ জল’। এবার এই ধারাবাহিকের পরিচালক সুমন দাসের উপরেই উঠল ‘মি টু’ অভিযোগ। ‘সোহাগ জল’ ধারাবাহিকের প্রথম সম্প্রচারের দিনই মুম্বইয়ের মডেল পূজা নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে করে সুমনে দাসের বিরুদ্ধে আনলেন গুরুতর অভিযোগ।
ধর্ষণের চেষ্টার পাশাপাশি খুনের অভিযোগও আনলেন তিনি সুমনের বিরুদ্ধে। শুধু পূজা নয়, তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন আরও একজন মডেল। যার নাম সোমদত্তা মিত্র, তিনিও পূজার মতোই একগুচ্ছ অভিযোগ করেছেন পরিচালকের বিরুদ্ধে। সোমদত্তার কথায়, সুমন দাসের জন্য তিনি অভিনয়ের বদলজ অন্য চাকরি করছেন। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় নাট্যমঞ্চে সুমনের সঙ্গে আলাপ সোমদত্তার। সুমনের ছবি ‘জন্নত’-এ অভিনয়ও করেছিলেন সোমদত্তা।
কিন্তু সুমনের চাহিদা ও জেদের বশে ইন্ডাস্ট্রি ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। সোমদত্তার কথায়, সুমন তাঁকে বারবার বলত তাঁকে গার্লফ্রেন্ড হওয়ার জন্যে, কিন্তু অভিযোগকারিণী বারবার বাধা দিয়েছেন সুমনকে। কিন্তু পরিচালক শোনেনি। ফোনে ব্লক করে দেওয়ার পরও মদ্যপ অবস্থায় এসে গালিগালাজ করেছেন সুমন। অভিনেত্রীর বাবাকে মেসেজ পাঠিয়েও নানা রকম নোংরা ভাষা প্রয়োগ করতেন তিনি। অবশেষে শহরে ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। অন্যদিকে ২০১৭ সালে পূজার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল সুমনের। তবে এবার বেপরোয়া হননি পরিচালক। তবে পূজার দাবি, ফ্ল্যাটের মধ্যেই তাঁকে ধর্ষণ ও খুন করার চেষ্টা করেছিলেন সুমন। তাঁকে ফ্ল্যাটে আটকে রাখারও চেষ্টা করেন পরিচালক। কিন্তু পূজা উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে ফ্ল্যাটের বাথরুমে নিজেকে বন্দি করে ধস্তাধ্বস্তি করে। অবশেষে পরিচালকের প্রতিবেশী এসে পূজাকে রক্ষা করেন। এসব ঘটনাই ফেসবুক লাইভে এসে জানান পূজা।