নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ মহালয়া। প্রথা অনুযায়ী, আজ থেকেই দেবী পক্ষের সূচনা। এই দিনটাকে ঘিরে প্রতিটি বাংলা চ্যানেলে চ্যানেলে থাকে নানান পরিকল্পনা। চলতি বছরের দুর্গা কে সাজবেন, তাই নিয়ে বহুদিন আগে থেকেই শুরু হয়েছে নানান জল্পনা-কল্পনা। আর দর্শকও তা দেখতে একেবারে মুখিয়ে থাকেন। কোন চ্যানেলে কোন অভিনেত্রী এবার দুর্গা রূপে ধরা দেবেন, সেই নিয়ে কৌতুহলের শেষ থাকে না দর্শকদের মধ্যে। যাই হোক, আজকেই মহালয়ার অনুষ্ঠান নিয়ে চ্যানেলে চ্যানেলে হয়েছে জোর টক্কর। কে কাকে মাত দেবে, সেই নিয়ে চলেছে বিস্তর আলোচনা। স্টার জলসার এই বছরের নিবেদন ছিল ‘মা চণ্ডী’, অন্যদিকে জি বাংলায় দেখা গেল ‘সিংহবাহিনী ত্রিনয়নী’। ওদিকে কালার্স বাংলাতেও দেখানো হয়েছে দেবীর দশটি রূপ। তবে দর্শকদের পছন্দ সই হয় নি কোনো চ্যানেলেরই মহালয়া। কেউ কেউ দূরদর্শনের পুরোনো মহালয়ার সঙ্গে তুলনা টেনে বলেছেন, ওই মহালয়ার মধ্যেই একটা ‘ভালো লাগা’ ছিল সেটা বড্ড মিসিং, এমনকি পাশাপাশি চলেছে মহালয়ার চটকদার অনুষ্ঠান নিয়ে ট্রোলিং। তবে স্টার জলসার ‘মা চণ্ডী’ এই বছর টপের আওতায় রয়েছে।
স্টার জলসা এই বছর একটু অন্যভাবেই মহালয়া উপস্থাপন করা হয়েছে। বিশেষত, মহালয়ার শেষে শুভ বনাম অশুভর লড়াইতেই মহা-টুইস্ট এনে দিয়েছে। পাশাপাশি নারীকে যে প্রতিনিয়ত লড়তে হচ্ছে চারপাশের অসুরদের সঙ্গে। সেটাও শেষ কয়েক মুহূর্তেই ‘আজকের দুর্গা’ হয়ে চমকে দিয়েছেন শোলাঙ্কি। আর এটাই ছিল স্টার জলসার মহালয়ার মূল টুইস্ট। ‘খড়ি’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক। অনেকর মতে দুর্গা সোনামণিকেই ছাপিয়ে গিয়েছেন শোলাঙ্কি। অন্যদিকে জি বাংলায় দেবী দুর্গা রূপে ধরা দিয়েছেন শুভশ্রী।
শুরু থেকেই শুভশ্রীর কাস্টিং নিয়ে তুলোধনা করেছেন অনেকেই। একজন তো নেটিজেন লিখেই দিয়েছেন, ‘চন্দননগরের লাইটিংটা দুর্দান্ত, তা কটা অর্ডার এল?’ নিম্নমানের ভিএফএক্স-কে কটাক্ষ করে অপর এক নেটিজেন লেখেন- ‘এ তো মার্বেলের চেয়েও সেরা ভিএফএক্স…. এমন ভিএফএক্স দেখে চক্ষুচড়কগাছ।’ স্টার জলসা ও জি বাংলার পাশাপাশি কালার্স বাংলাতেও মহালয়া স্পেশ্যাল অনুষ্ঠানে সম্প্রচারিত হয়েছে ‘দেবী দশমহাবিদ্যা’। সেখানে মহিষাসুরমর্দিনী হিসাবে ধরা দিয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। কিন্তু নেটিজেনদের কটাক্ষের হাত থেকে বাঁচেন নি তিনিও। ঋতুপর্ণাকে অনেকেই ‘বুড়ি দুর্গা’ বলে ট্রোল করেছেন।