নিজস্ব প্রতিনিধি: বিতর্কের মধ্যমণি প্রবীণ অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। সর্বদা কোনও না কোনও কারণে তিনি সংবাদের শিরোনামে থাকেন। নিজের মনের কথা খুলে বলতে কখনই পিছপা হননা অভিনেতা। বরাবরই দেশের সরকারের কোনও খারাপ দিক হোক বা কোনও ছবির বিষয়ে পর্যালোচনা করা হোক, সবেতেই তিনি এগিয়ে থাকেন নাসিরুদ্দিন শাহ। কিছুদিন আগেই দেশে মুঘল সাম্রাজ্যের স্মৃতি স্থাবর ভেঙে ফেলা নিয়েও গর্জে উঠেছিলেন প্রবীণ অভিনেতা। এবার তিনি দেশের ইদানিং সফল ছবিগুলির বিষয়ে পর্যালোচনা করলেন। যা নাকি হাইপার-পুরুষত্বকে মহিমান্বিত করছে। পাশাপাশি তিনি এও জানালেন, ব্লকবাস্টার তেলেগু চলচ্চিত্র ‘আরআরআর’ এবং ‘পুষ্পা’ নাকি আদেউ দেখেই নি। কিন্তু যে ছবিগুলি বক্সঅফিসে রীতিমতো ঝড় তুলল, অস্কার এনে দিল RRR, সেই ছবিগুলি কেন দেখলেন না অভিনেতা?
সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা এই বিষয়ে বলেছেন, “আমার তরুণ প্রজন্মের প্রতি খুব বিশ্বাস রয়েছে এবং আমি মনে করি যে তাঁরা অনেক বেশি বিবর্তিত, অনেক বেশি আমাদের চেয়ে অবগত এবং সচেতন। আমি জানিনা, রোমাঞ্চ ছাড়াও এই জাতীয় চলচ্চিত্রগুলি দেখে আর কী পাওয়া যায়। আমি আরআরআর দেখার চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি। আমি পুষ্পাকে দেখার চেষ্টা করলাম, কিন্তু পারলাম না। যদিও আমি মণি রত্নমের একটি ফিল্ম দেখেছি পুন্ন্যিয়ি সেলভান, তা আমার ভাল লেগেছে সম্পূর্ণরূপে, কারণ তিনি একজন অত্যন্ত দক্ষ চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং তাঁর কোনো এজেন্ডা নেই।”
তাঁর মতে, ” ‘কবীর সিং’-এর মতো সফল চলচ্চিত্রগুলি হাইপার-পুরুষত্বকে প্রচার করে। পুরুষদের নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে। সেজন্য হাইপার পুরুষত্বকে আরও বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। সমস্ত সুপারহিরো, এখন আমেরিকাতে। কিন্তু তা্য A Wednesday-এর মতো চলচ্চিত্রগুলি সফল হয়, যেখানে হাইপারমাস্কুলিন নায়ক নেই। এটা ঠিক যে, সেই ছবির প্রিমাইজ সম্পূর্ণ অসম্ভব। সুতরাং, সেই চরিত্রটি কোনো না কোনোভাবে নায়কের ক্যাটাগরিতে পড়ে কারণ সে যা করে, তা কারো পক্ষে করা সম্ভব নয়। কিন্তু লোকেরা এটিকে উপেক্ষা করে, কারণ তিনি তাদের একটি রোমাঞ্চ প্রদান করেন। তাই আমি মনে করি রোমাঞ্চ পাওয়ার এই প্রয়োজন আছে এবং সবসময় থাকবে। এখন আপনি যত বেশি জিঙ্গোইস্ট হবেন, তত বেশি জনপ্রিয় হবেন, কারণ এটিই এই দেশকে শাসন করে আসছে। আসলে, ‘কেরালা স্টোরি’ এবং ‘গদর 2′-এর মতো ছবি, আমি সেগুলি দেখিনি তবে আমি জানি সেগুলি কী নিয়ে।’