নিজস্ব প্রতিনিধি: সিনেমা ও বাস্তব একেবারেই উল্টো। পর্দায় যা খুশি করা গেলেও বাস্তবে তা করা যাবেনা। অনেক আইনী ঝঞ্ঝাটের কথা মাথায় রেখে সঠিক কাজ করতে হবে। নয়তো বিপদ অনিবার্য। তারকা বলেও কোনও নিস্তার নেই, বরং আরও লোক জানাজানি হওয়ার ভয়। পর্দায় জেমস বন্ডের চরিত্রে যা ইচ্ছে করতে পারলেও বাস্তব জীবনে যে তাঁর কোনও স্বাধীনতা নেই, সেটা একপ্রকার ভুলেই গিয়েছিলেন ব্রিটিশ অভিনেতা পিয়ার্স ব্রসনান। তাই আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়লেন।
এবার পিয়ার্সের বিরুদ্ধে উঠল আমেরিকার ইয়েলোস্টোন জাতীয় উদ্যানে নিয়মভঙ্গের অভিযোগ। সূত্রের খবর, ভেবেছিলেন তারক হয়েও তিনি জঙ্গলের মধ্যে পর্যটকদের জন্য নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন, কিছু হবেনা তাঁর। কিন্তু সেটা ভুল! এবার জঙ্গলের মধ্যে পর্যটকদের জন্য নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করেই আইনী ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লেন অভিনেতা। আমেরিকার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে, চলতি বছরে ১ নভেম্বর। ইতিমধ্যে ইয়োমিংয়ের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে পিয়ার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, পর্যটকদের জন্যে নিষিদ্ধ জায়গায় অভিনেতা পায়ে হেঁটে জঙ্গলের ঘুরে বেড়িয়েছেন। ইয়েলোস্টোন জাতীয় উদ্যানে একাধিক উষ্ণ প্রস্রবণ রয়েছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে আগামী ২৩ জানুয়ারি ইয়েলোস্টোন আদালতে অভিনেতাকে হাজিরা দিতে হবে। সম্প্রতি আমেরিকায় ‘আনহোলি ট্রিনিটি’ ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন পিয়ার্স। তখনই শুটিংয়ের ফাঁকে সময় বের করে বিখ্যাতব ইয়েলোস্টোন জাতীয় উদ্যানে ঘুরতে যান অভিনেতা। এই ছবিতে পিয়ার্সের সঙ্গেই রয়েছেন স্যামুয়েল এল জ্যাকসন। কেরিয়ারে একাধিক ছবির মাধ্যমে তিনি দর্শকদের বিনোদন দিলেও পিয়ার্সকে মনে রেখেছেন বিট্রিশ গুপ্তচর জেমস বন্ডের চরিত্রের জন্যই। ১৯৯৫ সালে মুক্তি পায় ‘গোল্ডেন আই’, ‘টুমরো নেভার ডাইজ়’, ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ় নট এনাফ’ এবং ‘ডাই অ্যানাদার ডে’ ছবিতে তাঁকে ডব্ল ও সেভেনের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল।