নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ১২ এপ্রিল নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে ইমতিয়াজ আলির বহু প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘চমকিলা’! ছবিতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, দিলজিৎ দোসঞ্জ এবং পরিণীতি চোপড়া। ছবিটি মুক্তির পর থেকেই সর্বত্র প্রশংসা কুড়োচ্ছে। বিশেষ করে দিলজিৎ দোসঞ্জ এবং পরিণীতি চোপড়ার অভিনয় দেখে মুগ্ধ দর্শক। ছবিটি পঞ্জাবের রকস্টার গায়ক অমর সিং চমকিলার জীবনী অবলম্বনে নির্মিত। যাঁকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। সালটা ছিল ১৯৮০-এর দশকে। এত বছর পরেও তাঁর মৃত্যুর কারণ অধরা। অমর সিং চমকিলা, খুম কষ্ট করে গানের দুনিয়ায় সুনাম অর্জন করলেও তেমন মর্যাদা পাননি। শোনা যায়, সেই সময়ে তাঁর গানের ক্যাসেট বিক্রির রেকর্ড হারিয়ে যেত। কিন্তু অমর সিং চমকিলার প্রতিটি গান ছিল বিতর্কিত।
তিনি নিজেই গান বাঁধতেন। আর তাঁর গানের কথা গুলি শিখ খালিস্তানিদের বিরোধী ছিল, এমনকি রাজ্যে যে সমস্ত সামাজিক অপকর্ম হচ্ছে সবটাই তাঁর গানে ফুটে উঠত। সেই কারণেই খুব অল্পদিনেই তিনি বিরোধীদের নজরে পড়ে যান এবং প্রকাশ্যে দিবালোকে সস্ত্রীক মৃত্যু হয় অমর সিং চমকিলার। এও শোনা যায় যে, তাঁর স্ত্রী অমরজিৎ যেহেতু উচু বংশের মেয়ে ছিলেন তাই অপরসিং-এর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর মৃত্যুর কারণ ছিল। যাই হোক, সম্প্রতি অমর সিং চমকিলার আরেকটি অজানা খবর প্রকাশ্যে এসেছে। ১৯৮০ দশকের জনপ্রিয় গায়ক ছিলেন চমকিলা।তবে অমরজিৎ চমকিলার প্রথম স্ত্রী ছিলেন গুরমেল কৌর, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী অমরজিৎ। চমকিলার প্রথম স্ত্রী এখনও জীবিত রয়েছেন। একটি সাক্ষাৎকারে গুরমোল কৌর জানান, চমকিলা অত্যন্ত সম্মান করতেন তাঁকে। কিন্তু চমকিলার মৃত্যুর পর তাঁর মৃতদেহ সমাধি নিয়েও অনেক দাঙ্গা বাধে, কিন্তু সবাই তো তো একা সামলেছিলেন গুরমেল। গুরমেলের প্রখর বুদ্ধিতে মুগ্ধ ছিলেন চমকিলা। কখনও কারো সামনে মাথা নিচু করতে দেয়নি।
তবে গুরমেল চাইলে অমরসিং-কে তাঁর দ্বিতীয় বিয়ের জন্যে জেলে পাঠাতে পারত, কিন্তু তা করেনি। অমরজিৎকে বিয়ে করার পরেও গুরমেলের সঙ্গে অমর সিং-এর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। সে তাঁর বাড়িতে এলেই গুলমের রুটি বানাত এবং চমকিলা সবজি রান্না করত। কিন্তু অকালে মৃত্যুর পর চমকিলার মৃতদেহ সমাধির জন্যে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয় গুরমেলকে। বিষয়টি নিয়ে তাঁর এলাকার অনেকেই আপত্তি তোলেন। কারণ হত্যা করা মানুষের সমাধির জন্যে মাজার তৈরি করা হয়। কিন্তু গুলমেল ঈট বালি দিয়ে চমকিলার সমাধি নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছিলেন, কিন্তু সেখানে চমকিলার সমাধি করতে না দেওয়া হলে গুরমেল পুলিশের সাহায্য নেন। পুলিশের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত চমকিলার মৃতদেহ সমাধি করা হয়।