নিজস্ব প্রতিনিধি: গত তিনমাস ধরে জেরবার বলিউড অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর সাংসারিক কলরব। শুরুটা হয়েছে অভিনেতার মায়ের আলিয়া সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে সম্পত্তির অযথা অধিকারের ভিত্তিতে। এরপরেই আলিয়া জানান, তাঁকে প্রথমে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে ঢুকতে না দেওয়া হলেও পরবর্তীতে তিনি জোর করে ঠেলে ঢুকেছেন। এবং তাঁকে খেতে শুতে সবকিছু থেকেই বঞ্চিত করা হয়েছিল। এমনকী নওয়াজের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আলিয়া বলেন, তাঁদের এখনও ডিভোর্স হয়নি। কিন্তু তিনি সন্তানদের খোঁজ খবর রাখেন না। তাঁদের দেখভালের জন্যে টাকা-পয়সা দেয় না। অভিনেতার পরকীয়া রয়েছে, আলিয়াকে ধরে মারধর করেন।
এদিকে আদালত জানান, তাঁদের পারিবারিক কলহ নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেওয়ার জন্যে। কিন্তু এরপরেও জল অনেকদূর গড়ায় আলিয়া অভিযোগ আনে তাঁকে এবং তারা সন্তানদের নওয়াজউদ্দিন বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। অন্যদিকে অভিনেতার দাবি, তাঁর সন্তানরা যাতে দুবাইতে নিয়মিত স্কুলে যায়। এদিকে আলিয়ার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে নওয়াজউদ্দিন বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণ নিরাপদ। আলিয়া তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনছে। আলিয়া তাঁর কাছ থেকে সবসময় অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন। এর জন্য আমার সম্মানহানি হচ্ছে এবং ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’ তবে এবার বোধহয় এই ঝামেলা মিটবে, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর স্ত্রী নিশ্চিত করেছেন যে, খুব শীঘ্রই তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু হবে। যার ফলে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের অশান্তি শেষ হবে।
“নওয়াজ মীমাংসার জন্য আদালতে পৌঁছেছেন কিন্তু আমি এখনও এটির প্রতিক্রিয়া জানাইনি। বিবাহবিচ্ছেদ ঘটবে, এটি নিশ্চিত এবং আমি আমার উভয় সন্তানের হেফাজতের জন্য লড়াই করব। নওয়াজও হেফাজতের জন্য আবেদন করেছিলেন কিন্তু আমি তা হতে দেব না। আমার বাচ্চারা আমার সঙ্গেই থাকতে চায় এবং বাবার সঙ্গে থাকতে চায় না।” নওয়াজউদ্দিন এবং আলিয়ার মেয়ে শোরা সম্প্রতি পবিত্র রমজান মাসে তাঁর প্রথম রোজা পালন করেছেন। এই প্রসঙ্গে আলিয়া বলেছিলেন, “আমার মেয়ে যদি ইসলাম অনুসরণ করতে চায় তবে আমি খুশি।” কয়েক সপ্তাহ আগেই আলিয়া দাবি করেছিলেন যে, তাঁকে জোর করে নওয়াজউদ্দিনের আন্ধেরি বাংলো থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল।যদিও অভিনেতার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলি প্রকাশ করেছে যে বাড়িটি নওয়াজের মায়ের। তাই কাউকে বাড়িতে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়ার কোনও অধিকার তাঁর নেই।
বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে আলিয়া বলেছেন, “আমি বর্তমানে একটি ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্টে থাকছি, যা আমাকে ৩০ মার্চের মধ্যে খালি করতে হবে, কিন্তু আমি অন্য বাসস্থান খুঁজে পাচ্ছি না বলে আমি এক মাস বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছি। এই বিরোধের কারণে সমিতি আমাকে ভাড়ায় সম্পত্তি দিতে অস্বীকার করছে।” আলিয়া আরও বলেন, “সেটি জায়গাটিও ভাড়ায় এবং আমরা হঠাৎ করে ভাড়াটেকে চুক্তি ভঙ্গ করে চলে যেতে বলতে পারি না। তবে আশা করি শীঘ্রই সমস্ত ঝামেলা শেষ হবে এবং আমরা আমাদের ছোট্ট বাড়িতে শান্তিতে থাকতে পারব”