নিজস্ব প্রতিনিধি: বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ, মাঝে মধ্যেই নানা কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় গর্জে ওঠেন তিনি। পাশাপাশি বেফাঁস মন্তব্যের কারণেও সংবাদের শিরোনামে উঠে আসেন অভিনেতা। কয়েক যুগ ধরে বলিউডে রাজত্ব করছেন তিনি। কখনও নায়কের চরিত্রে, আবার কখনও খলনায়কের চরিত্রে তাঁর অভিনয় দর্শকদের দারুণ আকর্ষণ করে। কিছুদিন আগেই মুঘল আমলের কিছু ভাস্কর্যের বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার কারণে সরাসরি দেশবাসীকে আক্রমণ করে ছিলেন প্রবীণ অভিনেতা। সম্প্রতি আবারও বেফাঁস মন্তব্যের কারণে সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চায় উঠে এলেন অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ।
বর্তমানে তিনি ZEE5-এর Taj: Reign of Revenge-এ মুঘল সম্রাট আকবরের চরিত্রে অভিনয় করছেন। তাঁর কথায়, মুসলমানদের প্রতি ঘৃণা বর্তমানে ফ্যাশনেবল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কীভাবে শিল্পের মাধ্যমে “অনিচ্ছাকৃত প্রচার” জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ইসলামোফোবিক সময়ের জন্যে এটি খুবই উদ্বেগজনক প্রতিফলন। এরপর তিনি ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, বর্তমানে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণাকে অত্যন্ত চতুরভাবে কাজে লাগাচ্ছেন বিজেপি সরকার। যা দিন দিন “ফ্যাশনেবল” হয়ে উঠেছে। এর বাহক হিসেবে কিছু ফিল্ম এবং শোগুলির অপপ্রচার করা হচ্ছে। সম্প্রতি নাসিরুদ্দিন শাহ ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস ডটকমকে বলেছিলেন, যা মাটিতে ঘটছে সেটাই পর্দায় প্রতিফলিত হচ্ছে। নির্বাচনে ভোট পাওয়ার জন্যে অবাধ ইসলামিক ফোবিয়াকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
বীজেপীতিনি আরও বলেন, “এখন একটি উদ্বেগজনক সময়। মুসলিম বিদ্বেষ আজকাল ফ্যাশনেবল, এমনকি শিক্ষিত লোকদের মধ্যেও এটি ফ্যাশনেবল। আমরা যদি ধর্মনিরপেক্ষ, গণতন্ত্রের কথা বলি, তাহলে আপনি কেন সব কিছুতে ধর্মের পরিচয় দিতে যাবেন? নির্বাচন কমিশন ভোট পাওয়ার জন্য ধর্ম ব্যবহার করছেন। কোনও মুসলিম নেতা যদি “আল্লাহু আকবর” ব্যবহার করে ভোট চাইতেন তবে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যেত। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এটিকে তাঁর পক্ষে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিলেন— কিন্তু তিনি হেরে গিয়েছেন। সুতরাং আমাদের নির্বাচন কমিশন কতটা মেরুদণ্ডহীন? যার একটা কথাও বলার সাহস নেই। আমি আশা করি যে এটি খুব শীঘ্রই বন্ধ হয়ে যাবে।”