নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোট আসতেই ডিগবাজি খেয়েছেন টলিউডের সুপারস্টার দেব। মাস কয়েক ধরেই জল্পনা চলছিল যে, পরপর দুবারের জয়ী সাংসদ আসন থেকে পদত্যাগ করতে পারেন দেব, সুতরাং রাজনৈতিক দল থেকে বিদায় নেবেন সুপারস্টার। ২০১৪ থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থেকে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন অভিনেতা। এরপর ২০১৯ সালেও একই কেন্দ্র থেকে তিনি দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু এবার খবর ছিল যে, ২০২৪ সালের লোকসভা কেন্দ্র থেকে আর দাঁড়াবেন না দেব, তিনি রাজনীতি ছাড়ছেন।
কিন্তু এই জল্পনা বেশিদিন ধোপে টিকল না। ১০ মার্চ তৃণমূলের জনগর্জন সভা থেকেই ঘাটাল কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী হলেন দেব। পাশা ঘুরে যেতে বেশিদিন সময়ও লাগল না। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাপ আলোচনায় নিজেদের মধ্যে সমস্ত মতভেদ মিটিয়ে নিয়েছিলেন দেব, তা আগেই গুঞ্জনে ছিল। সেটাই হল। বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূল প্রতিদ্বন্দ্বি হলেন দীপক অধিকারী ওরফে দেব। ঠাকুরের নাম নিয়ে গত সপ্তাহ থেকেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন দেব। শুটিংয়ের সবকিছু ধকল কাটিয়ে জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। আর প্রচারে নেমেই তারকা সুলভ আচরণ ছেঁটে ফেলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়েছেন তারকা। স্বাভাবিকভাবেই ঘাটালের মানুষের কাছে খুব ফেভারিট তিনি। রাস্তায় নেমেই প্রচার করছেন নায়ক।
তাঁকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয়রা। দিন কয়েক আগে এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে গিয়ে চায়ে চুমুক দিয়েছেন নায়ক। সেই ভিডিওও হু হু করে ভাইরাল হয়েছে। এবার সেখানকার স্থানীয় চায়ের দোকানে চা খেলেন দেব। সাধারণ পোশাকেই দেখা মিলল নায়কের। এক বয়স্কর দোকানে গিয়ে নায়কের চা-বিস্কুট খাওয়ার ভিডিওটা ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে। সঙ্গে ওই বয়স্ক দোকান ওয়ালার হাত থেকে পানও খেলেন নায়ক। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া মাত্রই নায়কের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শকরা। শুক্রবার স্থানীয়দের সঙ্গে একটি ফ্রি-হুইলিং কথোপকথন করেন দেব। ইরপালা গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি চায়ের দোকানে যাওয়ার সময়, দেব স্থানীয়দের সঙ্গে তাৎক্ষণিক কথোপকথনে নিযুক্ত হন। দেবকে দেখে বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা আবারও পরিশ্রমী এমপির সহজে মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে।