নিজস্ব প্রতিনিধি: দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি আবারও দুর্নীতিতে জেরবার।এবার কোপ সরাসরি মালয়ালাম সুপারস্টার পৃথ্বীরাজ সুকুমারনের উপর। মালায়ালাম তারকার পাশাপাশি তিনি একজন স্বনামধন্য প্রযোজক এবং পরিচালকও বটে। এবার তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, যার ফলে ইডির মুখ বন্ধ করতে হল ২৫ কোটি দিয়ে। তবে এগুলো সব ভ্রান্ত বলে দাবি অভিনেতার। তবে ব্যপারটা ঠিক কী? গত ১১ মে একটি সংবাদ প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়, দুর্নীতির টাকা দিয়ে ছবি তৈরি করার জন্যে অভিনেতা পৃথ্বীরাজ সুকুমারনকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গৃহীত পদক্ষেপের জন্য জরিমানা হিসাবে ২৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে বলেন, এমন একটি গুজব উঠেছিল।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে পৃথ্বীরাজ পাল্টা অভিযোগে বলেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং অত্যন্ত আপত্তিকর। ‘দ্য মারুনাদান মালয়ালি’, নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে, ১১ মে একটি সংবাদটি প্রকাশিত হয়, যেখানে দাবি কইরা হয়, পৃথ্বীরাজ সুকুমারান মধ্যপ্রাচ্যের কিছু তহবিল ইডির তদন্তাধীন। এমনকী সুপরিচিত প্রযোজক অ্যান্টনি পেরুমবাভুর এবং লিস্টিন স্টিফেনকেও ইডি তদন্ত করছে। মারাদান ইউটিউব চ্যানেলটি আরো দাবি করেছে যে, প্রচুর কালো টাকা মধ্যপ্রাচ্য থেকে কেরালায় মালায়ালাম সিনেমার মাধ্যমে আসছে এবং শিল্পের কিছু লোক এই প্রক্রিয়াটিকে সহজতর করছে। তাতেই জড়িয়ে আছেন পৃথ্বীরাজ সুকুমারন। এদিন পৃথ্বীরাজ সুকুমারন তার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই অভিযোগের তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি লিখেছেন, “অভিযোগগুলির কোনও সত্যতা নেই, বিদ্বেষপূর্ণ, মানহানিকর।”
অবিলম্বে আইনি ব্যবস্থা নেবেন তিনি। তাঁর কথায়, খবরের নামে মিথ্যাচারের একটা সীমা আছে। এদিন ফেসবুকে পোস্ট করে অভিনেতা বলেন, “এটা আমার নজরে এসেছে যে কিছু অনলাইন এবং ইউটিউব চ্যানেলে আমার বিরুদ্ধে একটি মানহানিকর এবং জাল খবর প্রকাশিত করেছে, অভিযোগ করা হয়েছে যে আমি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পদক্ষেপের জন্য ২৫ কোটি টাকা জরিমানা দিয়েছি এবং আমি ‘প্রপাগান্ডা’ করছি। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং আপত্তিকর। আমি উক্ত চ্যানেলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। সকল দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের প্রতি বিনীতভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে যে, তাঁরা সত্যতা যাচাই করেই এ বিষয়ে পরবর্তী সংবাদ প্রকাশ করবেন।’