নিজস্ব প্রতিনিধি: ২রা অক্টোবর গান্ধি জয়ন্তী হিসেবে পালন করা হয় গোটা দেশে। ১৮৬৯ সালের ২রা অক্টোবর গুজরাতের পোরবন্দরে জন্ম তাঁর। মায়ের নাম পুতলীবাই, বাবার নাম কর্মচন্দ গান্ধি। এবছর মহাত্মাগান্ধির ১৫২ তম জন্মজয়ন্তী। স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অসামান্য অবদানই নয়, মহাত্মা গান্ধি তাঁর সমগ্র জীবন একটি প্রেরণা হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরেছিলেন। তাঁর জীবন তুলে ধরা হয়েছে বেশ কিছু সেলুলয়েড সিনেমার মাধ্যমে।
১. লাগে রাহো মুন্না ভাই- রাজকুমার হিরানির ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ছবি ‘লাগে রাহো মুন্না ভাই’। মুক্তির পরই সিনেমাটির গায়ে ‘ব্লকবাস্টার’ তকমা লেগে যায়। ভারতের মাটি ছাড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রশংসা অর্জন করে। সফল এই সিনেমায় ‘মুন্না ভাই’ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সঞ্জয় দত্ত। চলচ্চিত্রটি তৈরির পেছনে রাজকুমার হিরানির অন্যতম লক্ষ্য ছিল, মহাত্মা গান্ধির প্রতি আগ্রহ পুনরুজ্জীবিত করা। নির্মাতার মনে হয়েছিল, মহাত্মা গান্ধিকে সমকালীন ভারতের মানুষ ভুলে গেছে। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, শুটিংয়ের পেছনে কাজ করা কেউ কেউও গান্ধিকে জানেন না। অনেক রাজনীতিবিদ গান্ধির জন্মদিনটা পর্যন্ত জানেন না। ‘গান্ধিগিরি’ কথাটা এই সিনেমা মুক্তির পর লোকজনের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে।
২. গান্ধি- ব্রিটিশ পরিচালক রিচার্ড অ্যাটেনবরোর পরিচালিত ‘গান্ধি’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮২ সালে। এই ছবিটি সম্পূর্ণত একটি বায়োগ্রাফিকাল সিনেমা। এই ছবিতে মহাত্মা গান্ধির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বেন কিংসলে। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে নিজের অহিংস মতাদর্শকে নিয়ে যে অক্লান্ত লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন বাপু, এই ছবির মাধ্যমে সেই গল্পই তুলে ধরা হয়েছে। আটটি অস্কারও জিতেছিল এই ছবিটি।
৩. হে রাম- কমল হাসান এবং শাহরুখ খান অভিনীত এই ছবি মুক্তি পায় ২০০০ সালে। স্বাধীনতা ও তার নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে এই ছবির মধ্য দিয়ে।
৪. গান্ধি মাই ফাদার- এই ছবিতে দেখা গেছে অক্ষয় খান্নাকে। এই ছবিতে মহাত্মা গান্ধি কিভাবে ‘জাতির জনক’ হয়ে উঠেছিলেন তা ফুটে উঠেছে।