নিজস্ব প্রতিনিধি: এবার আর ব্যক্তিগত কারণে নয়, সরাসরি শ্রাবন্তীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ! নায়িকার সাধের জিম নিয়ে নালিশ থানায়। নায়িকার ব্যক্তিগত জীবন প্রতিনিয়ত নজরে রয়েছে নেটিদুনিয়ার। কিছুদিন আগেই তাঁর তৃতীয় স্বামী রোশন সিং অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ভারতীয় ‘পারজারি’ মামলা দায়ের করেছেন। যার ফলে স্থগিত হয়ে গিয়েছে অভিনেত্রীর খোরপোশের মামলা। এছাড়াও দিন দুয়েক আগেই জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালকের সঙ্গে তাঁর প্রেমের গুঞ্জনে জেরবার নেটপাড়া। শোনা যাচ্ছে, শুভ্রজিৎ মিত্রের ‘দেবী চৌধুরানি’ র ছবির সেটেই শ্রাবন্তীর সঙ্গে তাঁর প্রেম। কিন্তু এই গুজবে চরম বিরক্ত শুভ্রজিৎ। অন্যদিকে অভিনেত্রীর দাবি, তাঁকে তিনি দাদা হিসেবে দেখেন।
যাই হোক, এবার আলোচনায় তাঁর সাধের জিম। বছর দু’য়েক আগে মধ্যমগ্রামের এক মলে ‘দ্য ফিটনেস এম্পায়ার’ নামক একটি জিম খুলেছিলেন। তখন রোশনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। এবার সেই জিম নিয়েই ঝামেলা গড়াল থানা পর্যন্ত। ঠিক কী ঘটেছে? শ্রাবন্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, জিম ট্রেনিংয়ের নামে টাকা তুলে জিম বন্ধ করে দিয়েছেন অভিনেত্রী। যার ফলে রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন জিম- ট্রেনিরা। হাজার হাজার টাকা খরচ করে ওই জিমে ভর্তি হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এখন সেই জিমে ঝুলছে তালা। চলতি বছরের গোড়ার দিকে এক মাল্টিজিমের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞাপন বের করে আকর্ষণীয় অফার দেওয়া হয়। বলা হয়, বছরে ১৮ হাজার টাকার পরিবর্তে সাড়ে সাত হাজার টাকা দিলে ভর্তি নেওয়া হবে জিমে। স্বাভাবিকভাবেই এই লোভনীয় অফারে অনেকেই ভর্তি হয়ে যান জিমে।
কিন্তু অভিযোগকারীদের দাবি, ভর্তি হওয়ার পরেই তাঁদের বলা হয়, চার হাজার টাকার বিনিময়ে ব্যক্তিগত ট্রেনার রাখতে, এরপরেই হোলির নাম করে বন্ধ হয়ে যায় জিম। এরপর অভিযোগকারীরা মধ্যমগ্রাম থানায় জিমের মালিকদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে বলে, “গোটা বছরের জন্য আমরা জিম প্যাকেজের টাকা দিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা খোলার লক্ষণ দেখছি না। আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই। আমাদের অনুরোধ আপনারা যদি দয়া করে এই ব্যাপারে অনুসন্ধান করে ও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেন, তবে ভাল হয়।” সঙ্গে তাঁরা জিমে টাকা জমা দেওয়ার যাবতীয় অফিসিয়াল নথিও জমা দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রত্যেকটা জিনিসের সময় থাকে। যারা নাম নথিভুক্ত করেছেন তাঁরা নিশ্চয়ই সময়মতো সবকিছু পেয়ে যাবেন। নিশ্চয়ই কোনও কারণ আছে। তার জন্যই জিমটা বন্ধ করা হয়েছে। আমি এতটাই আমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত যে ও দিকে সময় দিতে পারছি না। কিন্তু যারা যারা টাকা দিয়েছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই তাঁদের টাকাটা পেয়ে যাবেন।” এই মুহূর্তে হাতে বেশ কিছু কাজ রয়েছে শ্রাবন্তীর। একদিকে রাজর্ষি দে’ র ‘সাদা রঙের পৃথিবী’ অন্যদিকে শুভ্রজিৎ মিত্রের ‘দেবী চৌধুরাণী’।