নিজস্ব প্রতিনিধি: বারবার ভোটে দাঁড়িয়েও জয়ের হাসি হাসতে পারছেন না বাংলাদেশের বিতর্কিত ইউটিউবার তথা গায়ক হিরো আলম। তবে আজকাল ভুল ভাল গানে মনোনিবেশ না করে তিনি রাজনীতি তেই বেশি নাক গলাচ্ছেন। এক সময়ে তাঁর গান নিয়ে রীতিমতো হুটোপাঠি পড়ে যেত সোশ্যাল মিডিয়ায়। রবীন্দ্রনাথের গান বেসুরো এবং ব্যঙ্গ সুরে গেয়ে থানা পর্যন্ত তাঁকে যেতে হয়। যাই হোক, বর্তমানে তিনি দেশের জন্যে ভালো কিছু করার উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু তাঁর সেই উদ্যোগ মাটি চাপা দিচ্ছে বিরোধী দলগুলি। গত বুধবার দুপুরে বগুড়া নির্বাচন অফিস থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন তুলেছিলেন হিরো আলম। কিন্তু ২৪ ঘন্টার মধ্যেই তিনিই দল পাল্টান। এরপর তিনি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও তা বাতিল করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, হলফনামাসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্রে কিছু ত্রুটির কারণে তাঁর মনোনয়নপত্র আজ বাতিল হয়েছে। এই প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘হিরো আলম দলীয় প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও মনোনয়নপত্রে দলের নাম উল্লেখ করেননি।
দলীয় মনোনয়নের মূল কপি জমা না দিয়ে ফটোকপি জমা দিয়েছেন। স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে হলে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিতে হয়, সেটাও ছিল না। এ ছাড়া হলফনামায় হিরো আলম স্বাক্ষরই দেননি। আবার হলফনামার সঙ্গে সম্পদ বিবরণীর ফরমও ছিল না। এসব কারণে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি চাইলে আপিল করতে পারবেন।’ এদিকে হিরো আলম বলেছেন, দুবাই সফরের কারণে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে ভালোভাবে যাচাই করতে পারেননি। তাই ব্যক্তিগত সহকারীর মাধ্যমে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। কিন্তু হলফনামাসহ কয়েকটি কাগজে স্বাক্ষর ছাড়াই মনোনয়নপত্র জমা দিতে হয়। তবে আগামীকাল তিনি আপিল করবেন।
প্রার্থিতা ফিরে পেতে শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টেও যদি যেতে হয় যাবেন। এই মূহুর্তে বাংলাদেশ কংগ্রেস ছয়টি দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ। যেগুলি হল, বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি, বাংলাদেশ গ্রীণ পার্টি ও বাংলাদেশ সৎ সংগ্রামী ভোটার পার্টি। এর মধ্যে হিরো আলম গণঅধিকার পার্টির (পিআরপি) জন্য মনোনীত প্রার্থী। প্রসঙ্গত, গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (একতারা প্রতীক) হিসেবে লড়েন হিরো আলম। পরে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মাঠে নামেন তিনি। তবে কোনোটাই সফল হয়নি।