নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: টলিউড এবং ঢালিউড, দুই বাংলার তারকাদের আনাগোনা যুগ যুগ ধরেই। দুই বাংলাতেই মিলে মিশে কাজ করেন তারকারা। ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, যাঁকে খুব শীঘ্রই দেখা যাবে কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃণাল সেনের বায়োপিকে। দুই বাংলার মানুষের কাছেই দারুণ পরিচিত মুখ চঞ্চল চৌধুরীর। তাঁর অভিনয়ে মুগ্ধ ভক্তরা। গতবছর আজকের দিনেই বাবাকে হারিয়েছেন অভিনেতা। তাঁর বাবা ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রাধা গোবিন্দ চৌধুরী।
২৭ ডিসেম্বর বয়স্ককালীন রোগে দীর্ঘকাল ভোগার পর পৃথিবীর সমস্ত মায়া ত্যাগ করে চলে যান অভিনেতার বাবা। বাবাকে হারানোর পরে প্রতি মুহূর্তে যেন তাঁর স্মৃতি হাতড়াচ্ছেন অভিনেতা। প্রায়শই বাবাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি করেন তিনি। বাবাকে যে কতটা ভালবাসতেন অভিনেতা তা মুহূর্তে মুহূর্তে ভক্তদের বোঝান তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই এখনও বাবাকে হারানোর ব্যথা ভুলতে পারেননি চঞ্চল। মাঝেমধ্যেই বাবার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলি ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নেন তিনি। আজ বাবার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে শোকাতর চঞ্চল চৌধুরী। আজ দুপুরে বাবার সঙ্গে দুটি ছবি শেয়ার করে ফের বাবার স্মৃতি চারণ করলেন অভিনেতা।প্রথম ছবিটি ২০২১ সালের। যাতে বাবা-ছেলেকে হাস্যেজ্জল অবতারে দেখা যাচ্ছে। অন্যটি বাবার শেষ যাত্রার সময় তাঁর হাতে বাবার হাত রাখার। এদিন ছবি দুটি শেয়ার করে ফের স্মৃতির সাগরে ডুব দিলেন নায়ক।
ফেসবুকে লিখলেন, “আমাদের বাবা অনন্তলোকে চলে যাবার আজ এক বছর হয়ে গেল। বাবার হাতটা ছুঁতে পারিনা একটা বছর। বাবাকে আদর করতে পারিনা একটা বছর। মাঝে মাঝে গভীর রাতে একাকী চিৎকার করে বাবা বাবা বলে ডাকি। বাবা সাড়া দেয় না। আর দেবেও না কোনদিন। স্বপ্নেও বাবাকে দেখতে পাইনা। এ যে কি কষ্ট, কি যে কষ্ট। যারা পিতৃহীন তারাই শুধু বোঝে, তারাই শুধু জানে।আমাদের ছোট বেলার বাঘের মত গর্জন করা বাবাকে যখন শেষ দিকে শিশুর মত করে আদর করতাম…বাবা ফ্যাল ফ্যাল করে তাঁকিয়ে হাসতো। সেই হাসিটাও এক বছর দেখিনা।হাজার কথা লিখেও বোঝাতে পারবো না, বাবা ছাড়া এই একটা বছর, বুকের ভেতরের কষ্টের আগুনটা কেমন দাউ দাউ করে জ্বলছে। বাবা তুমি যেখানেই থাকো, ভালো থাকো। বাবা- শব্দটাই শুধু রয়ে গেলো!” (অপরিবর্তিত)