নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ৮ জানুয়ারি প্রয়াত কিংবদন্তী অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবীর জন্মদিন। বিবিধ জনের তাঁকে নিয়ে বিবিধ মত। এমনকি মৃত্যুর পরেও তাঁকে নিয়ে নানা কটূক্তি, মহানায়কের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে নানা সমালোচনা সবকিছু মিলিয়ে এক মিশ্র প্রতিক্রিয়া সবমহলেই। তবে আর বাকি পাঁচজন মানুষের থেকে তাঁর অভিনেতা নাতি শন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দিদিমা সুপ্রিয়া দেবী একেবারে একজন আলাদা মানুষ। সুপ্রিয়া দেবী শনের কাছে শুধুই তাঁর ‘দিদা’। একজন আলাদা মানুষ। দিদার জন্মদিন মানেই একটাসময় তাঁর পছন্দের বিষয়গুলি মাথায় রেখেই চলত সেলিব্রেশন। তাই সুপ্রিয়া দেবীর শেষ জন্মদিন পালনে তাঁরা পৌঁছে গিয়েছিলেন সুপ্রিয়া দেবী ও মহানায়কের পছন্দের জায়গা তোপচাঁচিতে। অতীতের স্মৃতিই দিদার কাছে ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন নাতি শন ও পরিবার।
সবথেকে বড় বিষয় যেটি তা হল দিদা যখন ‘বেণুদি’ অর্থাৎ সুপ্রিয়া দেবী তখন অভিনেতা নাতি শন যতই ফিটনেস ফ্রিক হন না কেন তিনি যে কব্জি ডুবিয়ে দিদার হাতের রান্না খেতেন সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। দিদার হাতের চিংড়ি মাছের মালাইকারি আর পোলাও ছিল তাঁর পছন্দের খাবার। এছাড়াও ৮ জানুয়ারি সুপ্রিয়া দেবীর জন্মদিনে তাঁর পছন্দসই খাবারে সপরিবারে খাওয়াদাওয়াতেই চলত সেলিব্রেশন। চাইনিজ ছিল তাঁর পছন্দের ডিশ। তাই শহরের নতুন নতুন রেস্তোরাঁতে চাইনিজ খেতে যেতে পছন্দ করতেন কিংবদন্তী অভিনেত্রী। আজ তাই তাঁর অনুপস্থিতিতে এই বিশেষ দিনে স্মৃতিচারণা আর তার পাশাপাশি সুপ্রিয়া দেবীর পছন্দের খাবার নিয়ে এসে বাড়িতে খাওয়া দাওয়ার মাধ্যমে তাঁর জন্মদিন উদযাপন করেন এখন সকলে।
কিন্তু অভিনেতা শনের অভিনয় জীবনে তাঁর দিদার ভূমিকা কীভাবে রয়েছে? শনের ভাষাগত সমস্যা অর্থাৎ বাংলা বলতে না পারা ও নিজেকে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকিয়ে রাখার কঠিন চেষ্টায় তাঁর দিদা ছিল তাঁর কাছে এক অনুপ্রেরণা। প্রাথমিক পর্যায় থেকে বাংলা শিখে আজ শন প্রত্যেকের পছন্দের অভিনেতা। সেক্ষেত্রেও দিদার ভূমিকা স্বীকার করেন তিনি বারবার। তবে আক্ষেপ থেকেই গিয়েছে। নিজের অভিনয়ের মূল্যায়ন তিনি জানতে পারেননি দিদা সুপ্রিয়া দেবীর কাছ থেকে। কারণ তাঁর মৃত্যুর কয়েক বছর পর থেকে শনের অভিনয় জীবন শুরু হয়। তাই এই আক্ষেপ অভিনেতা শনের সারা জীবনের। তবে চলে গিয়েও দিদা যে তাঁর পাশে সর্বদা রয়েছেন, তাঁর কাজ দেখছেন এমনটা সবসময় মনে করেন শন।