নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ বিতর্কের বেড়াজাল পেরিয়ে এখন প্রেক্ষাগৃহে রীতিমতো রাজত্ব করছে। বক্সঅফিসে ছবির আয়ের সংগ্রহ তিনদিনে মাত্রা ছাড়ালেও ছবি নিয়ে বিতর্ক যেন কিছুতেই শেষ হওয়ার নয়। সারা দেশে ছবির গল্প ঘিরে রীতিমতো রণক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। ৩২,০০০ নারীর নিখোঁজ, ইসলামে ধর্মান্তর, উগ্রপন্থীতে নিয়োগ, সবটাই গল্পের
মুল উপজীব্য। কিন্তু এই ঘটনা কিছুতেই মানতে নারাজ কংগ্রেস-সহ দেশের একাধিক তাবড় তাবড় নেতারা। তাঁদের একটাই দাবি, দ্য কেরালা স্টোরির গল্প দেশে বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়াচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট ঘিরে কেরালা ও মাদ্রাজ হাইকোর্ট বিরোধীদের কোনও আবেদনই গ্রহণ করেনি। এদিকে মধ্যপ্রদেশ সরকার করমুক্ত করেছে ছবিটির, কিন্তু মুক্তির দ্বিতীয় দিনেই তামিলনাড়ুতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ছবির প্রদর্শনী। এবার বাংলাতে ছবিটিকে নিষিদ্ধ করল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিকেলেই কড়া নির্দেশ দেওয়া হল যে, পশ্চিমবঙ্গের কোনও হলে এই ছবির প্রদর্শন হবেনা। কেরালার গল্প দর্শকদেরও রীতিমতো বিভক্ত করে রেখেছে। অনেকের কাছে ছবিটি সমর্থন আদায় করেছে, অনেকে ছবিটিকে তিরস্কার করেছে। এই সবের মধ্যে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘বাংলায় শান্তি বজায় রাখতে’ এবং বিদ্বেষমূলক অপরাধ ও সহিংসতার যে কোনও ঘটনা এড়াতে ছবিটির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এবার মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে প্রতিক্রিয়া জানালেন প্রযোজক বিপুল অমৃতলাল শাহ। তিনি এএনআইকে বললেন, “যদি মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। আইনের বিধানে যা কিছু সম্ভব, আমরা লড়াই করব।” সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্র বের করার জন্য চলচ্চিত্রটিকে কৃতিত্ব দিয়েছেন এবং কর্ণাটকের একটি সমাবেশে কংগ্রেসকে আক্রমণ করার জন্য এটি ব্যবহার করেছেন।
মধ্যপ্রদেশ সরকার রাজ্যে সিনেমাটিকে করমুক্ত করেছে, অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বলেছেন যে প্রস্তাব থাকলে ইউপিতেও এটি করা যেতে পারে। এদিকে, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নিন্দা করে, বলেছিলেন যে তারা ‘লাভ জিহাদ’ ইস্যুটি উত্থাপন করে রাজ্যকে ধর্মীয় উগ্রবাদের কেন্দ্র হিসাবে উপস্থাপন করার জন্য সংঘ পরিবার প্রচার করছে।
