নিজস্ব প্রতিনিধিঃ হাসতে হাসতেই সকলকে বিদায় জানালেন কোকিলকণ্ঠী। গত ৮ জানুয়ারি মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে করোনা পজিটিভ হয়ে ভর্তি হন লতা মঙ্গেশকর। চিকিৎসক প্রতীত সামদানির অধীনে ছিলেন তিনি। লতার প্রয়াণের পর তাঁর চিকিৎসক জানালেন শেষ বেলাতেও তাঁর মুখে হাসি লেগেছিল। হাসতে হাসতেই সকলকে বিদায় জানান শিল্পী। রূপোলী পর্দায় এত বছর কাটানোর পরেও তথাকথিত চাকচিক্যহীন ও সাদামাটা জীবন কাটিয়েছেন লতা। শুধুই একজন শিল্পী হিসাবে নন। একজন মানুষ হিসাবেও তিনি ছিলেন অন্যরকম।
লতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে চিকিৎসক প্রতীত সামদানি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ”আমি গত তিন বছর ধরে তাঁর চিকিৎসা করেছি। শেষের এই কয়েক বছর তাঁর নানারকমের অসুস্থতা ছিলই। কিন্তু ৮ তারিখের পর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থা দিন দিন অত্যন্ত খারাপ হচ্ছিল। শত চেষ্টার পরেও আমরা তাঁকে ধরে রাখতে পারিনি। লতা দিদি খুব কম কথা বলতেন। চিকিৎসা চলাকালীন তিনি এটাও বলেছেন আমাদের ‘সকলের জন্য পরিষেবা এক হওয়া উচিত।’ এমনকি চিকিৎসক জানিয়েছেন, সবরকমের চিকিৎসা নিতেও তিনি প্রস্তুত ছিলেন। আমি তাঁর হাসি আজীবন মনে রাখব।