নিজস্ব প্রতিনিধি: বক্সঅফিসে রীতিমতো ঝড় তুলছে সানি দেওলের বহু প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘গদর ২’, মুক্তির আগেই ছবির সফলতা ছুঁয়েছিল একেবারে শীর্ষে। ২ লাখের মতো টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছিল সানি-আমিশার
অভিনীত ‘গদর ২’-এর। ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘গদর’-এর প্রেমকাহিনী এগিয়ে দিতে ‘গদর ২’-এর জন্ম। ইতিমধ্যেই ছবি আয়ের নিরিখে বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছবি হওয়ার পথে পা বাড়িয়েছে। ৬০ বছর বয়সেও সানির অভিনয়ের জলওয়া দেখে মুগ্ধ ভক্তরা। ১১ আগস্ট ছবি মুক্তির সপ্তাহেই ২৯৪.৬৩ কোটি আয় করে ফেলেছিল। ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে তৃতীয় সপ্তাহ ধরে রাজ করছে। ১৩ তম দিনে অর্থাৎ ২৪ আগস্ট, ‘গদর 2’-এর আয় ছিল ১০ কোটি টাকার নিচে। ‘গদর 2’ এখন ৫০০ কোটি দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ২৪ আগস্ট, ‘গদর 2’ ভারতে ৮.০২ কোটি আয় করেছে। সুতরাং, চলচ্চিত্রটির মোট বক্স অফিস আয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ৪১৮.৯০ কোটি টাকা। এদিকে এত সফলতার মাঝেও ‘গদর ২’-নিয়ে বিতর্ক যেন কাটছেই না।
ছবিটি দর্শক থেকে সমালোচকদের কাছে প্রশংসিত হলেও নানারকম বিতর্ক একেবারে ঘিরে ধরেছে ছবিটিকে। ফিল্মের সাউন্ডট্র্যাকগুলিও ব্যপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশেষ করে, ছবিটির দুটি ক্লাসিক গানকে আধুনিক গানে রূপান্তরিত করা হয়েছে। সুরকার উত্তম সিং, প্রথম গদরে গান বেঁধেছিলেন, তবে সিক্যুয়েলে তিনি কাজ করেননি। কিন্তু প্রযোজকরা তাঁর কাছে অনুমতি না নিয়েই তাঁর গানগুলি গদর ২-এ ব্যবহার করেছেন, এই কারণে সুরকার প্রযোজকদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। গদর ছবির দুটি সাউন্ডট্র্যাক বিখ্যাত সুরকার উত্তম সিং তৈরি করেছিলেন। তবে ‘গদর 2’-এ, মিথুন ফিল্মের সবচেয়ে সুপরিচিত দুটি গানকে পুনরায় নির্মাণ করেছেন, যার মধ্যে একটি হল, ‘উদ্ জা কালে কাভা’ এবং ‘মে নিকলা গাদ্দি’।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে উত্তম সিং এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “ওঁরা আমাকে গদর 2-এর জন্য ডাকেনি। ফোন করে কাজ চাওয়ার অভ্যাসও আমার নেই। তাঁরা ছবিতে আমার দুটি গান ব্যবহার করেছেন এবং আমি শুনেছি যে তাঁরা আমার সুর করা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ব্যবহার করেছে। ফিল্মে আমার গান ব্যবহার করার আগে আমাকে একবার জিজ্ঞাসা করার এবং আমার সঙ্গে কথা বলার শিষ্টাচার তাঁদের থাকা উচিত ছিল।” এদিকে গদর 2-এর সফলতার মাঝেই সানি দেওলের ৫৬ নমস্কার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে। যার জন্যে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা সানির জুহুর বাংলো নিলামে উঠিয়েছিল।